আজ আপনাদের ইসলাম থেকে সনাতন ধর্ম গ্রহণকারী ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সবিতা রাণীর চমকপ্রদ কাহিনী শোনাবঃ
সবিতা রাণী ঝাড়খণ্ডের একটি গ্রামে বাস করতেন। তিনি একটি মুসলিম যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠেন। যৌথ
পরিবারে থাকার দরুণ কাকাতো ভাইদেরকে তিনি নিজের মায়ের পেটের আপন ভাইয়ের মত দেখতেন
যেমনটা সাধারণত হিন্দু পরিবারগুলির মধ্যে দেখা যায়। যায় হোক,
সবিতা রাণী বা জন্মসূত্রে যার নাম ছিল নাসিমা খাতুন, ১৫ বছর বয়সে তার বিবাহ ঠিক হয় নিজের আপন
কাকাতো ভাইয়ের সঙ্গে।
সবিতা এটা মন থেকে কিছুতেই মানতে পারছিলেন না যে, একদিন যে দাদাকে তিনি আপন
দাদা বলে জেনে এসেছেন, একই সাথে খেলাধুলা করে বেড়িয়েছেন তার সাথেই কিনা তাকে রাত্রিযাপন করতে হবে!
নাসিমা ওরফে সবিতা এই বিবাহে নিজের মতামত পরিবারকে জানান এমনকি তার কাকাতো ভাইকে জানান যার
সাথে তার বিবাহ ঠিক করা হয়েছে, কিন্তু তিনি বুঝতে পারেন পূর্ব থেকে তার ভাই তার প্রতি যৌন
আকর্ষণ অনুভব করতেন কিন্তু সবিতার কোনো আগ্রহ ছিল না তার কাকাতো ভাই ফারুকের প্রতি।
সবিতা নিজে মুখে বলেন, “আমি একটি হিন্দুপাড়ায় বড় হয়েছি।
দেখেছি হিন্দু পরিবারগুলিতে কাকাতো ভাইবোনদের মধ্যে নিজের মায়ের পেটের ভাইবোনের মত সম্পর্ক থাকে।
আমিও তাই ফারুক দাদাকে নিজের আপন দাদা ভাবতাম। কিন্তু যখন দুই পরিবার আমাদের বিবাহ ঠিক করল
এবং ফারুক দাদাও এই বিবাহে মত দিল তখন আমার ঘ্রিণা হতে থাকে এই নিয়োমের প্রতি। আমি জানি,
হিন্দুদের মধ্যে নিজের কাকাতো, মামাতো, মাসতুত, পিসতুত ভাইবোনে বিবাহের অনুমতি নেই এবং মেডিকেলের একজন
ছাত্রী হিসাবে আমি জানি আপন আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাহের অনুমতি বিজ্ঞানে নেই। ফলে ইসলামের এসব ঘৃণ্য নিয়ম
কানুনকে আমি ঘৃণা করতে শুরু করি এবং হিন্দুধর্মের এই বিজ্ঞানসম্মত রীতি আমাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়।
এরপর আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি, এই অমানবিক ধর্ম ত্যাগ করব। এসময় আমার সহপাঠী বরুণের সাথে প্রেমের সম্পর্ক
গড়ে ওঠে।
এবং অনেক বাঁধা পেরিয়ে আমরা বিবাহ করে ফেলি। ঈশ্বরের কৃপায় আজ
আমরা খুব
সুখে আছি।”
সবিতা দেবী আপনাকে শান্তি ও
সত্যের ধর্মে স্বাগতম।
মিঠুন চক্র বর্তী
হরেকৃষ্ণ