Saturday, April 20, 2024
HomeBiographyচঞ্চল চৌধুরীর জীবনী, নাটক, সিনেমা ও গান

চঞ্চল চৌধুরীর জীবনী, নাটক, সিনেমা ও গান

চঞ্চল চৌধুরী একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী অভিনেতা। বাংলাদেশে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে যে তাকে চিনবে না। তিনি টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রেই অভিনয় করেন। ছোট পর্দায় অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করলেও এখন ছোট-বড় পর্দায় সমান জনপ্রিয় তিনি। তার অভিনীত প্রথম ছবি রূপকথার গল্প। মনপুরা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এবং সিনেমাটি দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বক্স অফিসে সুপার হিট হয়। তিনি বেশ কয়েকটি মেগা সিরিজও অভিনয় করেছেন। চঞ্চল গান গাইতে ভালোবাসেন এবং ভূপেন হাজারিকা ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান শোনেন। এই প্রবন্ধে আমরা চঞ্চল চৌধুরীর জীবনী তুলে ধরছি।

চঞ্চল চৌধুরী chanchal chowdhury
চঞ্চল চৌধুরী chanchal chowdhury

চঞ্চল চৌধুরীর প্রাথমিক জীবন

বাংলাদেশী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ১৯৭৪ সালের ১লা জুন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রাধাগোবিন্দ চৌধুরী এবং মাতার নাম নমিতা চৌধুরী। তিনি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো, অভিনয়, গান এবং চিত্রকলায় সমানভাবে পারদর্শী। তার শৈশব কেটেছে আনন্দে ও নিশ্চিন্তে। তাদের বাড়ির পাশে পদ্মা নদী তাই স্কুল থেকে ফিরে নদীতে গোসল করতে ছুটে যায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত চঞ্চল ও সাহসী। শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি চৌধুরীর জন্মগত আগ্রহ তাকে একজন অভিনেতা হতে অনুপ্রাণিত করেছিল কিন্তু তার বাবা-মা তাকে একজন প্রকৌশলী হতে চেয়েছিলেন।

চঞ্চল চৌধুরীর শিক্ষা

চঞ্চল ১৯৯০ সালে উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। তারপর রাজবাড়ী সরকারি কলেজে ভর্তি হন এবং এই কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চঞ্চল চৌধুরী ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে ভর্তি হন। এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় যোগ দেন। ছোটবেলা থেকেই গান, আবৃত্তি, নাটকে আসক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে অরণ্যক নাট্যদলের মাধ্যমে তার অভিনয় শুরু হয়। অরণ্যক সাথে তার প্রথম কাজ ছিল “কালো দুইত্তো”। গ্রাস চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে টিভি পর্দায় আসেন তিনি। মঞ্চ অভিনেতা তাল পাতার সেপাই-এর মাধ্যমে প্রধান চরিত্রে দর্শকদের কাছে পরিচিত হন। এটি পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

চঞ্চল চৌধুরীর কর্মজীবন

চঞ্চল চৌধুরী মিডিয়া জগতে তার ক্যারিয়ারের শুরুতেই স্টেজ শো দিয়ে এগিয়ে যায়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর তালপাতার শেপাই নাটকে অভিনয় করার সময় মঞ্চশিল্পী চঞ্চল চৌধুরী টাইমলাইনে আসেন। চঞ্চল ২০০৬ সালে তৌকির আহমেদের “রূপকথার গল্প” দিয়ে তার সিনেমায় অভিষেক ঘটে। তিনি ২০০৯ সালে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র মনপুরা চলচ্চিত্রে সোনাই চরিত্রে অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পান। মনপুরা সিনেমাটি বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যবসা করা চলচ্চিত্রের একটি। সিনেমাটি পরিচালনা করেন গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তারপর তিনি অভিনয় করেন দেশের ইতিহাসের আরেকটি ব্যবসা সফল সিনেমা আয়নাবাজিতে। যেটি অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালনা করেন।

চঞ্চল ২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক সিনেমা বাবা তে অভিনয় করেন। দেশের বিখ্যাত পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর টেলিভিশন সিনেমা নির্মান করেন। তিনি সালাউদ্দিন লাভলু ও বৃন্দাবন দাস পরিচালিত “স্ত্রী মানে ইস্ত্রী” ছবিতে অভিনয় করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত চরিত্র মিসির আলীর চরিত্রে অভিনয় করেন দেবী সিনেমায় ২০১৮ সালে। সিনেমাটিতে তার বিপরিতে অভিনয় করেন দুই বাংলার প্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। বহু প্রতিভাবান অভিনেতা হিসেবে তিনি বিখ্যাত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান। এমনকি তিনি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় কাজ করার সুযোগ পান। কিংবদন্তি অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির সঙ্গে কাজ করেন ‘মনের মানুষ’ ছবিতে। লালনের জীবন ও দর্শন অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেছেন গৌতম ঘোষ।

আরো পড়ুনঃ মোশাররফ করিমের জীবনী, নাটক, সিনেমা ও গান সম্পর্কে

টেলিভিশন

তিনি তালপাতার শেপাই, শিয়াল পন্ডিত, হারকিপ্টে, মোহর শেখ, শান্তি অধিকারী, শান্ত কুটির এবং সাকিন সরিসুরির মতো কিছু জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালও করেছিলেন। তাছাড়া কিছু বিখ্যাত কাজ গোরুচোর, নুরুন্নাহার, বংশের বাটি, ভোবের হাট, ঘোর কুটুম, কলেজ-ছাত্র ইত্যাদি। হরকিপ্টে সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত তার ক্যারিয়ারের অন্যতম বিখ্যাত ধারাবাহিক। তার অভিনয় জীবনে সাকিন সরিসুরি ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় নাটক। সে সময় চঞ্চল ‘জাপান ডাক্তার’ নামে পরিচিত ছিলেন এবং তার এই সংলাপ তার ভক্তদের মধ্যেও বিখ্যাত ছিল। সম্প্রতি তিনি তকদীর নামে একটি ওয়েব সিরিজ করেছেন। যেখানে গল্পের প্লট ছিল অনন্য এবং শক্তিশালী। তাকদীরে সে মৃতদেহের ফ্রিজার ভ্যানের চালক হিসেবে কাজ করে।

চঞ্চল মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সাথে প্রথম টিভি বিজ্ঞাপন করেছিলেন যার শিরোনাম ছিল “মা”। এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা পান। তারপর রবি, পিএইচপি অ্যারাবিয়ান হর্স সুপার এনএন, আকাশ ডিটিএইচ, পিউরিট ক্লাসিক, হাই-স্পিড হেয়ার কালার ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেছেন। তাছাড়া আমরা তাকে অ্যাওয়ার্ড ফাংশনে অ্যাঙ্কর হিসেবে দেখেছি। কয়েক মাস আগে মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে কভার ফোক গান ‘যুবতী রাধে’ করেন।

পুরস্কার এবং সাফল্য

তিনি ৩৪ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ফেরদৌসের সাথে যৌথভাবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান। তিনি ১১ তম মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পান সেরা অভিনেতার জন্য, যেটি ছিল দর্শকদের ভোটে। তিনি বিখ্যাত আয়না বাজি” সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য দ্বিতীয় বার বাংলাদেশ সরকার কতৃক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়াও শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার জিতেছিলেন। ২০১৯ সালে, তিনি “দেবী” ছবির জন্য একই পুরস্কার পেয়েছিলেন।

চঞ্চল চৌধুরীর বিয়ে

চঞ্চল চৌধুরীর বিয়ে করেন ২০০৮ সালে একটি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও শিক্ষক শান্তওয়ানা সাহাকে। চঞ্চল ও শান্তওয়ানা দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তাদের পুত্র সন্তানের নাম শৈশব রুদ্র শুদ্ধ।

শেষ কথা

চঞ্চল চৌধুরী খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একজন দক্ষ ও গুণী অভিনেতা হিসেবে সুনাম অর্জন করেন বাংলা দেশ এবং বিদেশে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ও ব্যস্ত অভিনেতা তিনি। চঞ্চল চৌধুরী একজন জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশী অভিনেতা।

চঞ্চল চৌধুরীর সোসাল মিডিয়াঃ

ফেইসবুক

ইনস্টাগ্রাম

চঞ্চল চৌধুরী (জন্ম: ১ জুন ১৯৭৪) একজন বাংলাদেশি অভিনেতা, মডেল, শিক্ষক ও গায়ক। তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র দুই মাধ্যমেই অভিনয় করে থাকেন। তিনি হাস্যরস অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার,[৩][৪] এবং সেরা অভিনেতা বিভাগে একটি দর্শক জরিপ পুরস্কার[৫] ও দুটি সমালোচক পুরস্কার বিজয়সহ[৬] মোট বারোটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৭][৮][৯]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী চঞ্চল চৌধুরী বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো, অভিনয়, গান, ছবি আঁকা এসব কিছুতেই সমান পারদর্শী। তিনি কোডা, সোডা ও ইউডা কলেজের চারুকলার প্রভাষকও।[২] চঞ্চলের অভিনয় জীবন শুরু হয় চারুকলার ছাত্র থাকাকালীন আরণ্যক নাট্যদলের সাথে যুক্ত হয়ে। পরবর্তীতে অসংখ্য নাটক ও টিভি সিরিজে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন চঞ্চল। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র রূপকথার গল্প (২০০৬)। এছাড়া তিনি মনপুরা (২০০৯), টেলিভিশন (২০১৩), আয়নাবাজি (২০১৬), ও দেবী (২০১৮)-তে তার অভিনয়নৈপুণ্য প্রদর্শন করে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেছেন।

প্রারম্ভিক ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

চঞ্চল চৌধুরী বাংলাদেশের পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রাধা গোবিন্দ চৌধুরী এবং মায়ের নাম নমিতা চৌধুরী। তিনি গ্ৰামের স্কুল কামারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং রাজবাড়ি সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করেন। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকেই তার গানবাজনা, আবৃত্তি আর নাটকের প্রতি নেশা ছিল। পরে তার মঞ্চ নাটকের প্রতি একটা আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

অভিনয় জীবন[সম্পাদনা]

১৯৯৬-২০০৫: মঞ্চ ও টিভিতে অভিনয়[সম্পাদনা]

১৯৯৬ সালে মামুনুর রশীদের আরণ্যক নাট্যদলের সাথে কাজ করার মধ্য দিয়েই অভিনয় জীবনের শুরু হয়। তার অভিনীত প্রথম নাটক আরণ্যক নাট্যদলের কালো দৈত্য’। পরবর্তীতে এই নাট্যদলের সাথে সংক্রান্তিরাঢ়াঙশত্রুগণ সহ আরও অনেক নাটকে কাজ করেন।[১০]

ফরিদুর রহমানের “গ্রাস” নাটকের মাধ্যমে টেলিভিশন নাটকে কাজ শুরু করেন। তিনি মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর তাল পাতার সেপাই নাটক দিয়ে দর্শকের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন। তারপর থেকেই তিনি মঞ্চের পাশাপাশি বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন টিভি নাটকে।[১১]

২০০৬-২০১০: চলচ্চিত্রে অভিষেক ও প্রশংসাপ্রাপ্তি[সম্পাদনা]

চঞ্চলের বড়পর্দায় অভিষেক হয় ২০০৬ সালে তৌকির আহমেদ পরিচালিত রূপকথার গল্প দিয়ে। তিনি ২০০৯ সালে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত মনপুরা ছবিতে সোনাই চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ৩৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ফেরদৌসের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ১১তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ সেরা অভিনেতা হিসেবে দর্শক জরিপ পুরস্কার লাভ করেন।[৫] পরের বছর গৌতম ঘোষ পরিচালিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার মনের মানুষ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস মনের মানুষ অবলম্বনে লালন শাহের জীবনী নিয়ে নির্মিত।

২০১১-২০১৫: টিভি নাটকে সাফল্য[সম্পাদনা]

২০১১ সালে চঞ্চল চৌধুরী

২০১১ সাল থেকে তিনি আরটিভির অলসপুর ধারাবাহিকে অভিনয় শুরু করেন। মামুন অর রশিদের রচনা ও আল হাজেনের পরিচালনায় ধারাবাহিকটি ১২ই মে থেকে প্রচারিত হয়।[১২] এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্য তিনি ২০১২ ও ২০১৩ সালে টানা দুবার তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেতা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[১৩] এছাড়া তিনি এই কাজের জন্য ২০১৩ সালে ধারাবাহিক নাটকে শ্রেষ্ঠ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বিভাগে আরটিভি আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।[১৪]

২০১২ সালে নভেম্বর মাস থেকে চ্যানেল নাইনের ইডিয়ট ধারাবাহিকে অভিনয় শুরু করেন।[১৫] এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্য তিনি ২০১৪ সালে তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেতা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এই বছরের ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক পিতা চলচ্চিত্রে ইমন সাহার সঙ্গীতায়োজনে তিনি শাওনের সাথে “তোর ভিতরে আমি থাকি” গানে কণ্ঠ দেন।[১৬][১৭]

২০১৩ সালে তিনি বাংলাদেশ ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত টেলিভিশন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। একই বছর ঈদুল আযহায় প্রচারিত হয় তার অভিনীত টিভি নাটক ঈদের নাটক। রুম্মান রশীদ খান রচিত ও রিপন মিয়ার পরিচালিত নাটকটিতে তাকে একজন নাট্য পরিচালক হিসেবে দেখা যায়, যিনি রওনক হাসান অভিনীত চরিত্রের অনুরোধে ঈদের জন্য একটি নাটক পরিচালনা করেন।[১৮] ২০১৪ সালে ভালোবাসা দিবসে এনটিভিতে প্রচারিত মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের লাল খাম বনাম নীল খাম টেলিভিশন নাটকে তাকে দেখা যায়।[১৯] এই নাটকটিতে অভিনয় করে তিনি ২০১৫ সালে সমালোচকদের দৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেতা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। সমালোচক শাখায় এটি তার প্রথম মনোনয়ন।[২০] ২০১৫ সালে তিনি বৃন্দাবন দাস রচিত এবং সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত ছয় পর্বের মিনি ধারাবাহিক ওয়াইফ মানে স্ত্রী-এ অভিনয় করেন। নাটকটি ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাংলাভিশনে প্রচারিত হয়।[২১]

২০১৬-বর্তমান: আয়নাবাজি ও অন্যান্য[সম্পাদনা]

২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাভিশনে প্রচারিত টিভি ধারাবাহিক সব পাখি ঘরে ফিরে-এ তিনি শাহনাজ খুশীর বিপরীতে অভিনয় করেন।[২২] এই বছর ঈদুল ফিতরে ছয়টি ছয় পর্বের মিনি ধারাবাহিকে অভিনয় করেন, সেগুলো হল বৃন্দাবন দাসের রচনা ও সালাহউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় ইতি মির্জাফর ও লাভ মানে ভালোবাসামাহফুজ আহমেদের পরিচালনায় ইজম আনলিমিটেডঅনিমেষ আইচের পরিচালনায় অশ্বডিম্ব, মাসুদ সেজানের পরিচালনায় ওয়াও ফ্যান্টাসি ও চন্দন চৌধুরীর পরিচালনায় চাল্লু মামার চাল্লু ভাগ্নে[২৩] এছাড়া তিনি ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে খণ্ড নাটক সবজান্তা ভালোবাসা-এ অভিনয় করেন।[২৪] মানি ইজ প্রবলেম[২৫] একই বছর ঈদুল আযহায় চ্যানেল আইয়ের একজন জাদুকর নাটকে অভিনয় করেন। এতে তিনি চার বছর পর সারিকা সাবরিনের বিপরীতে কাজ করেন।[২৬] এছাড়া এই ঈদে তাকে আরটিভির ছয় পর্বের ধারাবাহিক মানি ইজ প্রবলেম-এ নুসরাত ইমরোজ তিশার বিপরীতে দেখা যায়।[২৫]

২০১৬ সালের অক্টোবরে চঞ্চলকে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত আয়নাবাজি চলচ্চিত্রে দেখা যায়। এই ছবিতে তিনি নাম চরিত্র আয়নাসহ ছয়টি চরিত্রে অভিনয় করেন।[২৭] চলচ্চিত্রটির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তার দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন, এছাড়া সমালোচকদের জরিপে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস দেবী অবলম্বনে নির্মিত একই নামের চলচ্চিত্রে মিসির আলি চরিত্রে অভিনয় করেন।[২৮] সরকারি অনুদান ও জয়া আহসান প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি অক্টোবর মাসে মুক্তি পাবে। এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা দুই বছরের জন্য মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের শুভেচ্ছাদূত হন এবং আটটি বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।

Source : wikipedia.org/wiki

চঞ্চল চৌধুরী ও তার স্ত্রী, চঞ্চল চৌধুরীর ধর্ম কি, চঞ্চল চৌধুরীর নাটক লিস্ট, চঞ্চল চৌধুরী উইকিপিডিয়া, চঞ্চল চৌধুরী শান্তা চৌধুরি, চঞ্চল চৌধুরী ওয়েব সিরিজ, চঞ্চল চৌধুরীর গান, চঞ্চল চৌধুরী shaishob rudra shudda,চঞ্চল চৌধুরীর জীবনী,“চঞ্চল চৌধুরী” ,আয়নাবাজির গল্প ,প্রধানমন্ত্রী জীবনের গল্প শুনিয়েছেন: চঞ্চল চৌধুরী,চঞ্চল চৌধুরীর (চঞ্চল দাস ) জীবনী !Bangladeshi actor chanchal, চঞ্চল চৌধুরীর জীবনী | তারকার গল্প ,বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী অভিনেতা,Biography of Bangladeshi Actor Chanchal Chowdhury,বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী কোন ধর্মের?,চঞ্চল চৌধুরীর জীবনী, নাটক, সিনেমা ও গান,আয়নাবাজির গল্প .চঞ্চল চৌধুরীর জীবনী . ,তারকার গল্প ., Celebrity Story, Chanchal Chowdhury,আয়নাবাজির গল্প,চঞ্চল চৌধুরীর জীবনী , তারকার গল্প , Celebrity Story, Chanchal Chowdhury, আপনার প্রিয় তারকার না জানা সব তথ্য জানতে লাইক শেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন,চঞ্চল চৌধুরী, নায়িকা শাবনূর, নুসরাত ফারিয়া, পপি, রোজিনা, শবনম বুবলি, শেখ মুজিবুর রহমান,জানা-অজানা,jana-ojana,অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর স্ত্রী,অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জীবনী,চঞ্চল চৌধুরীর বয়স,চঞ্চল চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা,চঞ্চল চৌধুরীর সন্তান,chanchal chowdhury wife,chanchal chowdhury son and family,#ChanchalChowdhuryWife #চঞ্চলচৌধুরীরপরিবার #চঞ্চলচৌধুরীরস্ত্রী

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

চঞ্চল চৌধুরীর জীবনী, নাটক, সিনেমা ও গান



Hero

Welcome to the future of building with WordPress. The elegant description could be the support for your call to action or just an attention-catching anchor. Whatever your plan is, our theme makes it simple to combine, rearrange and customize elements as you desire.

Translate »