স্ত্রী ও দুই ছেলে – মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। খুব অল্প বয়সে প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। তখন কত আর বয়স ১৬/১৭। তার পরের বছরই আমাদের মেয়ে তিশা এলো। ভালই চলছিল কিন্তু একটা দুর্ঘটনায় সব ওলট-পালট হয়ে যায়। তিশার যখন ১১ বছর বয়স তখন আমার ২য় সন্তান অর্থাৎ ছেলে তরুণ ভূমিষ্ট হয়৷ আর ওঁকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায় আমার স্ত্রী।
আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সংসার নিয়ে আমি দিশেহারা হয়ে পড়তে থাকি। অনেকে বলে আবার বিয়ে করতে কতই বা বয়স। কিন্তু আমি চাইনা আমার বাচ্চাদের সৎ মা আসুক। কিন্তু একা সংসার চালানোও অসম্ভব। তার উপর আবার দুধের শিশু। এই যখন অবস্থা তখনই আমার মেয়ে তিশা সংসারের হাল ধরে। সে বাচ্চাটাকে খাওয়ানো – লালনপালন ও দেখাশোনা করে, আমাদের জন্য রান্না বান্না করে, ঘরদোর খেয়াল রাখে, আমার খেয়াল রাখে। সংসারের গৃহকর্ত্রী হিসেবে অবতীর্ণ হয় আমার মেয়ে তিশা। আমি ওর প্রতি কৃতজ্ঞতায় অফিস থেকে এসে ওঁকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করি।
দেখতে দেখতে আমার ছেলে তরুণ ৪ বছরের হয়ে যায়। সে তার বড়বোন তিশাকেই মা বলে ডাকতে শুরু করে, কারণ ওঁর কাছেই বড় হচ্ছে। আমি কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম “মা নয় আপু হয়” তবে বাচ্চা তো বুঝে উঠতে পারে না। ইতিমধ্যে তিশা কিশোরী থেকে ধীরে ধীরে নারী হয়ে উঠছে। বাবা হয়েও আমি ওঁর সাথে বন্ধুর মতো মিশি, গল্প করি। কারণ ও আমার সংসার টাকে ধরে রেখেছে। আমরা একে অপরের খেয়াল রাখি। আমার আন্ডারওয়্যার যেমন ও ধুয়ে দেয় তেমনি আমিও তিশার জন্য প্যাড নিয়ে আসি বিনা সংকোচে। আমরা একসাথে শপিংয়ে যাই। সেদিন তিশা বলছে – আব্বু, শুক্রবার একটু মার্কেটে যেতে হবে।
ঃ কেন রে মা?
ঃ কিছু কেনাকাটা করতে। আমার সালোয়ার, ব্রা, ভাইয়ের জামা এগুলো কিনতে হবে।
ঃ আচ্ছা নিয়ে যাবো ক্ষণ।
শুক্রবার ছেলে মেয়ে নিয়ে নিউমার্কেট গেলাম। তরুণের জন্য সুন্দর কয়েকটি জামা কিনলাম, মেয়ে কিছু সালোয়ার কিনলো। আমি তিশাকে একটা শাড়ীর দোকানে নিয়ে গেলাম। ও জিজ্ঞেস করল আব্বু কোথায় যাচ্ছো? সবচেয়ে বড় দোকানটায় গিয়ে বললাম ভাই সবচেয়ে সুন্দর কিছু শাড়ী দেখান তো। দোকানী বলল ভাইজান কার জন্য? আমি তিশাকে দেখিয়ে বললাম এর জন্য। দোকানী তখন বলল “ভাবী কি ধরনের দেখাব সিল্ক/জামদানী/সূতি?”
দোকানী তিশাকে ভাবি বলায় আমি ও তিশা দুজনই অবাক। তবে মুখে কিছু বললাম না। তিশাকে কএকটা সুন্দর শাড়ী উপহার দিলাম। তারপর আমরা গেলাম ব্রা প্যান্টির দোকানে। এখানে দোকানী বলল “কি সাইজ?”
তিশা বিব্রতবোধ করছে দেখে দোকানী বলল ভাই আপনিই বলুন ভাবি লজ্জা পাচ্ছে। আমি নিজেই লজ্জা পেয়ে গেলাম। যাইহোক সেখান থেকে কেনাকাটা সেরে বেরিয়ে এলাম। তখন পিছন থেকে কে যেন ডাক দিল। তাকিয়ে দেখি আমার স্কুলফ্রেন্ড জহির। বহুবছর পর দেখা জহিরের সাথে। এসে জড়িয়ে ধরি একে অপরকে। জহিরঃ – কেমন আছিস? এখানে কি করিস?
আমিঃ এইতো। কিছু কেনাকাটা করলাম।
জহির আমার মেয়ে কে দেখে বলল ভাবি স্লামালাইকুম। আমি থামাতে গেলাম তার আগেই জহির বলল কথা পড়ে বলিস আগে আমার দোকানে চল। আমি বললাম কোথায় তোর দোকান আর কিসের দোকান? ও বলল আগে চল তো, এই সামনেই। বলে ওর দোকানে নিয়ে গেল। সেই ফ্লোরেই ওর দোকান। মেয়েদের নাইটির বিশাল দোকান। আমরা গিয়ে বসলাম৷ জহির কেক কোক আনালো।
জহির তিশাকে বলল – ভাবী, নাইটি পছন্দ হলে নিতে পারেন, দারুণ দারুণ সব নাইটি আছে। তিশা আমাকে ফিসফিস করে বলল “আমি তো নাইটি পরি না” আমি বললামঃ ওর দোকানে এসেছি না নিলে খারাপ দেখা যায় তাই ২/৩ টা পছন্দ কর। তিশা কয়েকটা নাইটি নিল। আমি দাম দিতে গেলে জহির কোনো মতেই নিবে না। তাও আমি জোর করে দিলাম। তখন জহির বলল একি করলি? তখন সে তার কর্মচারী কে বলল ২ টা হানি বের করে প্যাকেট করে দে। তারপর সেটা আমাকে দিল। আমি বললাম এটা কি? জহির বলল এটা আমার পক্ষ থেকে স্পেশাল গিফট। তারপর বেরিয়ে রিকশা নিলাম।
বাড়ি ফিরে তিশা বলল – আব্বু, নাইটি গুলো কি করব? আমি বললাম -কেন বাড়িতে পরে ফেলবি।
ঃ আর শাড়ী?
ঃ সেগুলোও পরবি মাঝেসাঝে।
ঃ তোমার বন্ধু যে আমাকে ভাবী বলল, তুমি কিছু বললে না কেন আব্বু?
ঃ কি বলব? তুই তো আমার গৃহিণীর আসনেই আছিস৷ মাঝেমধ্যে তো আমিই ভুলে যাই তুই আমার মেয়ে।
ঃ যাও! তুমি না আব্বু!!
ঃ সত্যি বললাম।
ঃ হ্যাঁ, আমি তোমার সংসার, সন্তান সব দেখাশোনা করি। তবে স্ত্রী মানে তো কেবল এসব নয়, এসব তো কাজের লোকও করে। স্ত্রী মানে আরও অনেক কিছু। তারমানে আমি কি তোমার কাজের লোক?
ঃ ছি! কি বলছিস তুই!! কাজের লোক হবি কেন? এ সংসার তোর৷ তুই আমার সহধর্মিণী না হলেও তার চেয়ে কম নয়। তোকে আমি তোর মায়ের স্থানে বসিয়েছি। তোর বিয়ে হয়ে গেলে আমি কি করব?
ঃ না আব্বু। আমি বিয়ে করতে চাই না। আমি তোমাকে ছেড়ে, তরুণ কে ছেড়ে কোথাও যেতে পারব না। তুমি না বললে তোমার সংসারের গৃহকর্ত্রী আমি তবে আমি এভাবেই থাকতে চাই।
ঃ কিন্তু মারে, সবারই তো একটা অন্য চাহিদা থাকে।
ঃ তুমি আমার আব্বু তুমিই সব চাহিদা মেটাবে।
ঃ কিন্তু…
ঃ কোনো কিন্তু না। তোমার ছেলে, তোমার বন্ধু, দোকানদার আমাকে যা ভাবে তুমি তা ভাবতে পারছো না?
ঃ মানে…!
ঃ হ্যাঁ আব্বু। আমি তোমাকে…
বলে আমার বুকে ঝাপিয়ে পড়ল তিশা। ওর চোখ ছলছল।
ঃ পাগলী মেয়ে। কাঁদার কি হলো। আমি তো আছি। বলে ওর কপালে চুমু দিলাম। গালেও চুমু দিলাম। তারপর ও আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ঠোঁট বাড়িয়ে দিল। আমিও ওঁর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিলাম। দীর্ঘ চুমুর পর বাবুর কান্নার শব্দে সম্বিত ফিরে পেলাম। দুজন ছিটকে গেলাম। লজ্জায় তিশা চলে গেল বাবুকে ফিডারে দুধ খাওয়াতে।
রাতের খাবার খেয়ে আমার বিছানায় এলাম। তিশা এসে নাইটি গুলো দেখালো, বলল কোনটা পরবে? ঃ সবগুলোই সুন্দর। ঐ প্যাকেট টা খোল তো। ওটাতে হানি স্পেশাল না কি যেন আছে?
তিশা প্যাকেট টা খুলল। ২ টা ট্রান্সপারেন্ট নাইটি, একদম স্বচ্ছ। এজন্যই জহির হানি স্পেশাল বলছিল মানে হানিমুন স্পেশাল। তিশা দেখে মিটিমিটি হাসছে।
ঃ কি রে হাসছিস কেন?
ঃ এ কেমন নাইটি। এটা পরা না পরা সমান।
ঃ এটা হানিমুন স্পেশাল নাইটি। যা এরমধ্যে থেকে একটা পর।
ঃ না আব্বু। আমার লজ্জা করেনা বুঝি। আর আমার বিয়েই হলো না আমি হানিমুন নাইটি পরব কি করে।
ঃ আমার সামনে লজ্জা কিসের। আর তুই না আমার গৃহকর্ত্রী!
ঃ ঠিকাছে তুমি ঘরে যাও আমি আসছি।
বলে তিশা ওর রুমে চলে গেল। আমিও আমার ঘরে এসে অপেক্ষা করছি। দেখি লাইট অফ হয়ে গেল। তারপর তিশা ডিম লাইট জ্বালালো। আমি তাকিয়ে দেখি দরজায় তিশা দাঁড়িয়ে। স্বচ্ছ নাইটিতে ওঁকে পুরো পরীর মতো লাগছে। ভিতরে ব্রা প্যান্টি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ও এগিয়ে এসে বলল কি দেখছো এমন করে?
ঃ তোকে!
ঃ যাও! আমার লজ্জা করে…