সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমায় রাজার গবেষক গবুচন্দ্র যন্তরমন্তর ঘরে মগজ ধোলাইয়ের যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন। এই যন্ত্রের সাহায্যে রাজভক্তি প্রকাশে নারাজ যে; তাকে করে তোলা হতো একনিষ্ঠ রাজভক্ত।
জৈবপ্রযুক্তির সহায়তায় চীন এমন জিনিস তৈরি করছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ চীনের কিছু গোপন নথি হাতে পায়। সেখান থেকে নথিগুলো সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন টাইমসের কাছে যায়।
ওয়াশিংটন টাইমস চীনের নথির আলোকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে যাতে বলা হয়, চীনের বিজ্ঞানীরা মানুষের চৈতন্যের (জ্ঞানের) নিয়ন্ত্রণ নিতে চান। আর এর জন্য তাদের প্রধান টার্গেট মস্তিষ্ক।
খবরে আরও বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তি ঠিক কিভাবে কাজ করবে তার সুনির্দিষ্ট কিছু পাওয়া যায়নি। তবে সূত্র জানিয়েছে, চীন শত্রুর শরীর ধ্বংসের পরিবর্তে তাদের মগজ নিয়ন্ত্রণ নিতে অবশ করে তাদের ইচ্ছা শক্তির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়।
চীনের সামরিক সংবাদপত্র পিএলএ’র এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বেইজিং চারটি প্রযুক্তি ক্ষেত্র (ন্যানো, বায়ো, ইনফরমেশন এবং কগনিশন) নিয়ে কাজ করছে।
এদিকে এ ঘটনায় বেইজিংয়ের সামরিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ১১টি গবেষণা সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের অনুমতি ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানে কোনো পণ্য রপ্তানি ও স্থানান্তর করতে পারবে না।
সূত্র: ডেইলি স্টার ডট কো ইউকে, ডেইলি মেইল