ভূমিকা
ভারত তো বটেই, সারা পৃথিবীর সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য এক শোকের সংবাদ হচ্ছে কালজয়ী সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যু। গত ৬ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ে ৯২ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮৯ সালে ভারত সরকার তাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করে। তার অবদানের জন্য ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়। এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মীর পর এই পদক পাওয়া তিনিই দ্বিতীয় সঙ্গীতশিল্পী। ২০০৭ সালে ফ্রান্স সরকার তাকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা লেজিওঁ দনরের অফিসার খেতাবে ভূষিত করে। এই অসামান্য প্রতিভাধর গায়িকার প্রশংসা করার যোগ্যতা কিংবা ধৃষ্টতা কোনটিই আমার নেই, তবে এইটুকু বলতে পারি, ভারতীয় উপমহাদেশে লতা হচ্ছে সঙ্গীতেরই আরেক প্রতিশব্দ।
উনার মৃত্যুর পরেই ভারতীয় সিনেমার খ্যাতনামা অভিনেতা শাহরুখ খান তার মৃতদেহ সৎকার পালনে চলে গিয়েছিলেন, এবং শাহরুখ তার নিজ ধর্মের রীতি অনুসারে লতার জন্য দোয়া করেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। নিঃসন্দেহে শাহরুখের এই কাজটি তার অসাম্প্রদায়িক চরিত্রের পরিচয় বহন করে। জাতি ধর্ম বর্ণ এগুলোর বাইরে যে আমরা একই রকম মানুষ, সেই মেসেজটিই দেয়। শাহরুখকে এই কাজের জন্য অবশ্যই সম্মান জানানো উচিত। কিন্তু একইসাথে, অসংখ্য ইসলাম ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন পত্রিকার নিচে গিয়ে ফি নারী জাহান্নামা বলে যেই মন্তব্যগুলো করেছেন, সেগুলো দেখলে ভয় লাগে। এ কেমন সময়ে আমরা বসবাস করি? এতবড় একজন শিল্পী, তার মৃত্যুর পরে মুসলিম জনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ কেন উনার জন্য জাহান্নাম কামনা করছেন! এই ঘৃণা, এই বিদ্বেষের উৎস কোথায়? এর মূল ঘাঁটতে গেলে ইসলামের মূল গ্রন্থগুলো দেখা প্রয়োজন। জানা দরকার, এই মুমিনদের সাম্প্রদায়িক ঘৃণা এবং বিদ্বেষী অবস্থানই আসলে ইসলাম, নাকি শাহরুখ খানের অসাম্প্রদায়িক মানবিক অবস্থানটি ইসলামের শিক্ষা। পাঠকদের কাছে অনুরোধ থাকবে, তথ্যসূত্রগুলো যাচাই করে দেখবেন এবং বিচার বিবেচনা করবেন।
মুশরিক ভাল কাজ করলেও জাহান্নামী
ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনে বলা হয়েছে, কাফের মুশরিকরা চিরকালের জন্য জাহান্নামী। অনন্তকাল তাদের আল্লাহ আগুনে পুড়িয়ে শাস্তি দেবেন যা কোনদিন শেষ হবে না [1]
জানতে হলে পড়তে হবে। যাচাই করে দেখতে হবে। কোরআন হাদিসে এই নিয়ে কী বলা আছে, কোরআন হাদিস আসলে আমাদের কত ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক শিক্ষা দেয়, আসুন পড়ে দেখি। প্রথম কমেন্টে লিঙ্ক দেয়া হচ্ছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন >>