বৈশ্বিক জলবায়ু ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি হলিউড তারকা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর। এবার বাংলাদেশের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে ‘সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল’ বা ‘মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ হিসেবে ঘোষণা করায় বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগণ এবং সংশ্লিষ্ট এনজিওদের অভিনন্দন জানালেন লিও।
শুক্রবার এক টুইট বার্তায় অভিনন্দন জানিয়ে লিও লিখেছেন, ‘এ উদ্যোগ বিস্ময়কর এক জীববৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দেবে এবং বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালপ্রাচীরকে দেবে গুরুত্বপূর্ণ আবাসভূমি।’
সেন্টমার্টিনসংলগ্ন প্রবাল প্রতিবেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্যোগ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার একে ৪ জানুয়ারি ‘সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ধারা ১৩ (১) ও ১৩ (২)-এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলাধীন বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের এক হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ‘সেন্টমার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ ঘোষণা করে। এ সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল এখন পর্যন্ত দেশের সর্ববৃহৎ এবং দ্বিতীয় মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া।
এর আগে ১৯৯৯ সালে এ দ্বীপকে ইকোলজিক্যালি ক্রিটিকাল এরিয়া বা প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা হয়েছিল।
স্বেচ্ছামৃত্যু কিছু দেশে বৈধ, কিছু দেশ একে বৈধ করার জন্য চেষ্টা করছে।
ভবিষ্যৎ পৃথিবীর কথা চিন্তা করে অস্কার বিজয়ী অভিনেতা নিও ১৯৯৮ সালে ‘লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা, সমুদ্র সংরক্ষণসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন।
এ ছাড়া পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও তাঁর ওয়েবসাইট ও সামাজিক মাধ্যমগুলোও নিয়মিত ব্যবহার করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বৈশ্বিক আন্দোলনে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও রয়েছেন প্রথম সারিতে। ২০১৬ সালে ‘রেভেন্যান্ট’ সিনেমার জন্য তিনি অস্কার পুরস্কার পান। এ সিনেমা তাঁকে উপলব্ধি করায় পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে সবুজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর অস্কার বক্তৃতায় তাই বেশ গুরুত্বসহ উঠে আসে জলবায়ু প্রসঙ্গ। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সঙ্গে তিনি প্রযোজনা করেছেন ‘বিফর দ্য ফ্লাড’ নামের প্রামাণ্যচিত্র। এ ছাড়া ১৯৯৮ সালে তিনি লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন পরিবেশ নিয়ে কাজ করার জন্য।