নোদন ডেস্ক- ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেন ২০১৬ সালে৷ সামাজিক-অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নেয়ার গতিপথ নির্ধারণের সেই ঘোষণার আওতায় চলচ্চিত্র শিল্পকেও গুরুত্ব দেয়া হয়৷ রক্ষণশীলতা থেকে উদার, আধুনিকতার পথে যাত্রার অঙ্গিকার জন্ম দেয় চলচ্চিত্র খাতকে ঘিরে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা৷
২০১৮ সালে চলচ্চিত্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় সৌদি আরবের সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়৷ সেই থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে নতুন যাত্রা শুরু করেছে চলচ্চিত্র শিল্প৷
বর্তমানে বড় শহরগুলোর পাশাপাশি সৌদির গ্রামাঞ্চলেও বেড়েছে বিদেশি সিনেমার কদর। তবে দেশটিতে সিনেমা মুক্তির জন্য কিছু নিয়ম মানতে হয়। যৌনতা কিংবা সমকামিতা স্পর্শ করে এমন দৃশ্য থাকলে সে সিনেমা দেশটির হলে মুক্তি পায় না।
সিনেমা প্রদর্শনী শুরু হওয়ার পর থেকে দিনে দিনে সৌদি আরবের সিনেমার বাজার বড়ই হচ্ছে। বর্তমানে দেশটিতে ১৫৪টি সিনেমা হল চালু রয়েছে। সিনেমা হলগুলোতে সর্বমোট ৫০০ স্ক্রিনে সিনেমা প্রদর্শনী হয়।
এসব হলে সিনেমা মুক্তি দিয়ে দেশটি সদ্য বিদায়ী বছরে আয় করেছে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় তিন হাজার ৮৫০ কোটি টাকার বেশি।
সম্প্রতি এমন আয়ের হিসাবে দিয়েছে গবেষণা সংস্থা ওমদিয়া। তাদের গবেষণায় দেখা যায়, ২০২০ সালে সৌদির সিনেমার বাজার থেকে আয় ছিল ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০২১ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪৫০ মার্কিন ডলারে। এক বছরের ব্যবধানেই আয় বেড়েছে তিনগুণ।
গবেষণা সংস্থা ওমদিয়া বলছে, যদি এভাবে সৌদি আরবে সিনেমার বাজার দিন দিন বাড়তে থাকে, তাহলে ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের দশম সিনেমার বাজারে পরিণত হবে দেশটি।
জানা গেছে, সৌদি আরবে মুক্তির দিকে থেকে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর সিনেমা। শুধু সিনেমাই নয়, বর্তমানে দেশটিতে হচ্ছে কনসার্টও।