নিজের প্রেমজীবনে সমাজের কোনো তোয়াক্কা করেননি তসলিমা নাসরিন! যেমন হুড়মুড়িয়ে প্রেমে পড়েছেন। নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেছেন পৃথিবীর সব চাইতে সুন্দর ও আনন্দের এই অনুভূতির কাছে। সেখানেও জিতে গিয়েছিল তার সাহসিকতা।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে ২০১৬-র একটি পোস্ট নতুন করে শেয়ার করেন লেখিকা। সেখানে ফলোয়ারদের সামনে এনেছেন কী ভাবে ছক ভাঙা পথে হেঁটে প্রেমে মগ্ন ছিলেন তিনি। সামনে এনেছেন একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতিও।
সেই পোস্টে লেখিকা বলছেন , ‘তিরিশ বছর আগে আমি আমার প্রেমিককে রাস্তায়, রেস্তোরাঁয় চুমু খেয়েছিলাম বাংলাদেশের মতো দেশে।’ আর? ইউরোপের দেশগুলোয় হাটে মাঠে ঘাটে ইউরোপীয় প্রেমিককে তো চুমু খেয়েইছেন। ঘোর পূর্ণিমা-রাতে যৌনতায় মেতেছেন নির্জন সমুদ্রপাড়ে! যৌন জীবন যাপন করেছেন চাঁদের আলোয় নিবিড় অরণ্যে। কারণ, তার কাছে যৌনতা সব সময়ই খুব সুন্দর। নারী-পুরুষ, নারী-নারী, পুরুষ-পুরুষ, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার নির্বিশেষে।
প্যান্ট পাজামা পরেও পুরুষেরা অশ্লীল আচরণ করতে পারে, সমস্যা মানসিকতায়, পোশাকে নয়। তসলিমা নাসরিন
তার পরেই নিজের পোস্টে হালকা ক্ষোভ ঝেড়েছেন তসলিমা। তার দাবি, পশুদের থেকে সভ্য দুনিয়ার শেখা উচিত কী ভাবে যৌনতার উদযাপন করতে হয়! বিস্ময় প্রকাশ করে লেখিকা বলেন, আমি বুঝি না, বাইরে জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে পৃথিবী, আর মানুষ কি না চারদেয়ালের ভেতর দরজায় খিল এঁটে সঙ্গম করে। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষ অনেক দূরে সরে গিয়েছে, আর কত দূরে সরবে! একই সঙ্গে তার আক্ষেপ, মানুষগুলো দিন দিন দুই পায়র যন্ত্র মানব হয়ে উঠছে। সঙ্গমগুলোও যেন আর সঙ্গম নেই! সব যেন ধর্ষণ হয়ে উঠছে। ভালবাসাও হয়ে উঠছে ঈর্ষা।