ভাবি একটা বার আমাকে সুযোগ দাও না! এ বয়সে ভাইয়া ও নেই তোমার কষ্ট ত আমি বুঝি তুমি ও আমাকে একটু বুঝো ভাবি! আর কতদিন এভাবে থাকবা বলো দেখতে দেখতে ত বছর চলে যাচ্ছে!
সাফি, সোহা কে আমি খরচ চালাবো যতটুকু পারি তাও তুমি অমত করো না ভাবি!
রাজি হয়ে যাও প্লিজ,প্লিজ ভাবি..
সেলিমের কথা শুনে আমি হা করে তাকিয়ে আছি সেলিমের মুখের দিকে কারণ এই সেলিম কে চিন্তে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, এটা ই ত সেই সেলিম যে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার সাহস পায় নি অথচ আজ এই সেলিম তার বিছানায় যাওয়ার জন্য অফার করছে!
সময় কতটা বদলে গেছে, পরিস্থিতি আর ভাগ্য আমাকে কোথায় দাঁড় করিয়েছে সেটাই অবাক চোখে তাকিয়ে দেখছি।
সেলিম আমার ছোট দেবর আমার স্বামী শামীমের ছোট ভাই। আমার স্বামী শামীম ট্রাক এক্সিডেন্টে মারা যান। আমাদের গ্রামের সরকারি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করতেন।
ঢাকা একটা ট্রেনিংয়ে যাওয়ার পথে ট্রাক এক্সিডেন্ট করে ১৪ দিন চিকিৎসা অবস্থায় মারা যান। আমার এক ছেলে এক মেয়ে। বড় মেয়ের নাম সোহা আর ছোট ছেলের নাম সাফি। মেয়েটার বয়স ৭ বছর আর ছেলেটার ৩ বছর।
খুব সুখের সংসার ছিল আমাদের, সবাই মিলে কতই না ভালো ছিলাম। শামীম রা ৩ ভাই এক বোন শামীম সবার বড় ছিল , মেজো ভাই প্রবাসে থাকে আমার মেজো জা টা বাবার বাড়িতে থাকে এখানে নাকি খুব অসুবিধে হয়। বিয়ের চার মাস যেতে না যেতেই আমার মেজো দেবর কে নিয়ে আলাদা হয়ে যায়।
আমি শুধু আলাদা হতে পারিনি কারণ শামীমের মা কে কে দেখবে আমি ত উনার মেয়ের মতো। তাও বউ হিসেবে আমার মেজো জা ই ভালো!
আমার সৎ মা ছিল ঘরে তাই মায়ের ভালোবাসার খুব অভাব ছিল ভেবেছিলাম শাশুড়ী মা কে দিয়ে নিজের মায়ের ব্যথা ভুলব কিন্তু সে সুখটা হয়তো আমার কপালে ছিল না।
আমি যত উনাকে মেনে চলতাম উনি তত আমার ছোটোখাটো দোষ নিয়ে ঝগড়া শুরু করে দিতেন এ ঝগড়া নিয়ে শামীম কয়েকবার আমার উপর হাত তুলেছে তাও প্রতিবাদ করতে যেয়ে পারিনি কারণ আমি নারী মুখ দিয়ে বললে আমার অধিকারের অভাব নাই কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আমরা নারী রাই দোষী।
কার নামে কোথায় বিচার দিব? দিনশেষে এই পরিবার নিয়ে ই ত আমাকে থাকতে হবে তাই কখনো প্রতিবাদ করেছি আবার কখনো করিনি সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো ছিলাম।
কিন্তু সবার কপালে সব সুখ সয় না হয়তো আমার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে।
সেলিম আমার সাথে চোখ তুলে কথা বলতে পারে নি ওর ভাইয়ের ভয়ে। আমার জানামতে আমাকে খুব সম্মান করে কিন্তু আমার স্বামী মৃত্যুর পর বুঝলাম শুধু ভাইয়ের ভয়ে আমার দিকে তাকাতেও সাহস পায় নি।
ছেলে-মেয়ে দুটো কে নিয়ে কোথায় যাব কি করব? শাশুড়ী মা এবং সেলিমের অত্যাচারে ঘরে বসা যায় না।
কয়েক মাস শামীমের ব্যাংকে জমানো টাকা দিয়ে কোনো রকম দিন কাটিয়ে দিয়েছি কিন্তু আস্তে আস্তে ত সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সেলিম ও মাস্টার্স পাশ করেছে শামীম মারা যাওয়ার আগে কিন্তু ও ত ছোট-খাটো চাকরি খুজতে পারে তা না উল্টো ঘর থেকে টাকা নিয়ে নেশা করে।
চোখের সামনে আমার সাজানো সংসারটা শেষ হয়ে যাচ্ছে কি করব কার কাছে হাত পাতব!
সব মিলিয়ে আমি তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছি।
আল্লাহ কাছে তাজ্জুদের নামাজ পড়ে কতরকম ফরিয়াদ করেছি আল্লাহ যেন আমাকে সৎ রাখেন হালাল রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন।
ছোট বেলায় মা কে হারিয়ে সৎ মায়ের কাছে কম কষ্ট ভোগ করিনি!
আসলাম স্বামীর বাড়িতে এসে স্বামী কে হারালাম আল্লাহ যে আমার কত পরীক্ষা নিচ্ছেন জানিনা তবে আল্লাহ কে এতটুকু বলতাম আল্লাহ যেন আমাকে ধৈয্য দেন সবকিছু সহ্য করার।
দিন দিন সেলিমের অত্যাচার বেড়ে চলছে হুটহাট রুমে ডুকে,সুযোগ পেলে আপত্তিকর জায়গায় স্পর্শ করার চেষ্টা করে। কোনোরকম আল্লাহ নাম নিয়ে বেচে আসি তবে এরকম কতদিন?
বাহিরে বললে বলবে স্বামী নাই তাই এখন এমন করছি কিন্তু বাবার বাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্থা সব বন্ধ আমি ইন্টার পাশ বি এ ভর্তি হওয়ার আগে ই ত বিয়ে হয়ে গেলো কিন্তু এত অল্প বয়সে স্বামী হারাবো কখনো কল্পনা ও করিনি।
ছেলেটা ও বড় হচ্ছে মেয়ে ও কিন্তু আমি কোথায় যাব। ভেবেছিলাম ওদের সাথে কষ্ট করে কোনোরকম ওদের কাজের মহিলা হয়ে ও দিন কাটিয়ে দিব কিন্তু না মানসিক শারীরিক নির্যাতনের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলছে।
সেলিম একটা প্রাইভেট কোম্পানি তে জব নিয়েছে ভেবেছিলাম এখন ভালো হয়ে যাবে কিন্তু না সুযোগ পেলেই ইভটিজিং করার চেষ্টা করে।
দিন দিন সেলিম আমার দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আর মাঝে মাঝে বলে ভাবি আমি আশায় আছি কখন তুমি তোমার যৌবনের চাহিদার জন্য ডাক দাও আমি তখনই আসব বাড়িতে না পারলে তোমাকে হোটেলে নিয়ে যাব তাও তুমি একবার বলো!
এখন ইচ্ছে করে যত কষ্ট দেই বা নির্যাতন করি তখন সেটা করব না সব পুষিয়ে দিব তুমি একবার রাজি হও।
প্রতি উত্তরে বলেছিলাম তোমার ভাই কিন্তু কথায় কথায় বলতেন আমি তোমার বোনের মতো আর আমি তোমাকে ছোট ভাইয়ের মতো ই দেখেছি!
শামীম আমার হাত টেনে দু-হাত একজায়গায় করে বলল আমি কখনো তোমাকে বোন ভাবিনি বরং তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি।
শুধু ভাইয়ার ভয়ে তোমার দিকে ভালো করে তাকাতে বা কথা বলার সাহস পাইনি।
— হাতটা ছাড় সেলিম আমার ছেলে-মেয়ে দেখবে!
— দেখুক ওরা, দেখলে সমস্যা কি? চাচা আর মা
ত প্রেম ই করছে!
(হাতটা জোর করে ছাড়িয়ে গালে একটা তাপ্পর দিয়ে বললাম আজ যদি সোহার বাবা বেচে থাকতেন তাহলে শরীরের চামড়া জায়গায় থাকত না)
— আরে যা যা স্বামী মরার পরও তেজ কমে নি,আমিও দেখে নিব তুই কিভাবে এই বাড়িতে থাকিস।
খুব অসহায় লেগেছে সেদিন যেদিন আমার ছেলে পরীক্ষা ফিশ দেওয়ার জন্য কতবার টাকা চেয়েছে প্রতি বার সেলিম বলেছে তোর মায়ের কাছে গিয়ে জিগ্যেস কর তোর মা আমার কথায় রাজি কি না যদি রাজি হয় তাহলে তোরে অনেক টাকা দিব চকলেট খাওয়ার জন্য।
সাফি এসে আমাকে আমতা আমতা করে সব বলল আমি কিছু না পেয়ে সাফিকে জড়িয়ে ধরে কান্না করলাম।
সাফি কে খেতে দিয়ে ওযু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহ কাছে চোখের শত ফোটা পানি ফেলে বললাম আমার এতিম ছেলে-মেয়ের উছিলায় আমাকে এ বিপদ থেকে উদ্ধার করতে। কান্না করতে করতে জায়নামাজে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
সংসার টা এখন সেলিমের টাকা দিয়ে চলে। শাশুড়ী মা কত কথা ই না বলে আমরা সব টাকা ফুরিয়ে ফেলছি উনার ছেলের টাকা দিয়ে অথচ উনার মেয়ে জামাই নিয়ে ২/৩ মাসের আগে যেতো না উনারা ত ছিলেন ই সেলিমের পড়াশোনার খরচ সব ত শামীম দিয়েছে তখন ত মনে হয় নি এক ছেলের কাছে এত মানুষ এখন আমরা ৩ জন কে খাওয়াতে এত কথা তাও শুধু ভাত আমি সব কাজ শেষে কাঁথা সেলাই করে আমার সন্তানদের পড়াশোনা খরচ চালিয়ে নিচ্ছি।
যতটুকু পারি পড়ানোর চেষ্টা করব কিন্তু শুধু ভাতের জন্য দুনিয়ার সব কাজ করি তাও কারো মন পাইনা।
একদিন শহর থেকে এক আপা আসে আমার কাছে নকশিকাঁথা সেলাই করে দিতে পারব কি না!
আমি আমার হাতের কাজ কয়েকটা কাঁথা দেখিয়ে বললাম আর কোনো ডিজাইন থাকলে করে দিতে পারব সমস্যা নাই। উনি বলছেন আপাতত ২ টা করে দাও তারপর বাকিগুলো নিব।
হাতে ১ হাজার টাকা দিয়ে বললেন এটা তোমার অগ্রীম টাকা নেওয়ার সময় আরও কিছু টাকা দিয়ে যাব পারলে সাপ্তাহ -দশদিনের ভিতরে দিয়ে দিও। ফোন নাম্বার দিয়ে গেছেন লজ্জা তখন ই লেগেছে আমার শাশুড়ী জন্য কোনো কিছু নাস্তা দিতে পারিনি তবে উনারা খুশি ছিলেন।
আমার হাতে এক হাজার টাকা দেখে আমার সোহা-সাফি কত যে খুশি হয়েছে।
সেদিন আমার হাতে টাকা দেখে সেলিম অপবাদ দিয়েছে ওর নাকি টাকা চুরি করছি মানুষ বাসায় নিয়ে এসে এমনি ডং করেছি।
কতবার বলেছি টাকা টা আমার ইনকামের আমার শাশুড়ী মা ও তখন সেলিমের সঙ্গে তাল দিয়েছিলেন।
বাধ্য হয়ে সেলিম বলেছিল এখনো সময় আছে আমাকে একবার সুযোগ দিয়ে দেখ না হলে বাড়ি থেকে বের করে দিব!
কেন জানিনা সেদিন কথাটা শুনে এতটা ভয় হয় নি মনে হয়েছে আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা রয়েছে শুধু একটু চেষ্টা করলেই পারব। মন কে সাহস দিয়েছি..
একদিনের ভিতরে বাজারে এসে ফোনের দোকান থেকে শহরের আপা কে ফোন দিয়ে সবকিছু খুলে বললাম উনি বললে তুমি ঢাকা গাজিপুরে চলে এসো আমি তোমাকে আমার একটা গার্মেন্টসে জয়েন করিয়ে দিব।
সেদিন রাতের ট্রেনে ঢাকায় চলে আসি ছেলে-মেয়ে কে নিয়ে শুধু পুরান ২ টা জামা কাপড় নিয়ে এসেছি আর কিছু নিয়ে আসিনি সবকিছু রেখে আসছি।
শুধু চুরি করে নিয়ে এসেছি পরিবারের ছবিটি যেখানে শামীম আমি এবং সেলিমও আমার শাশুড়ী আর ছেলে -মেয়ে এক ক্যামেরায় বন্দী ছিলাম।
খোঁজ নিয়ে শুনেছিলাম সেলিম আমার উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে আমি নাকি কোন পুরুষের সাথে ঘরের টাকা -পয়সা গয়না সবকিছু নিয়ে পালিয়ে এসেছি। গ্রামের সবাই জানে আমি দুশ্চরিত্রতা,কলঙ্কী। ফোনের দোকানে এসে ফোন করে সবকিছু ঠিকঠাক করেছি হয়তো কেউ কেউ বিশ্বাস করেছে আবার কেউ করেনি..
আলহামদুলিল্লাহ এখন খুব ভালো আছি, গার্মেন্টসে জব করে ৮ বছর কিছু টাকা জমিয়ে গ্রামের মধ্যে একটা বাড়ি বানিয়েছি।
ছেলে আমার এসএসসি পরীক্ষা দিবে আর মেয়েটা অনার্স(ইংরেজি) ফাইনাল ইয়ারে।
পড়াশোনার পাশাপাশি একটা জব করছে আমার সোহা, আর আমি গ্রামের মধ্যে নকশিকাঁথার এবং বিভিন্ন নকশা,পুঁথির ব্যাগ মালাসহ মহিলাদের নিয়ে কাজ করে শহরে বিক্রি করি, এ বছর অনেক টাকা লাভ হয়েছে ।
শুনেছি সেলিম বিয়ে করেছিল একজন বিবাহিত মহিলাকে পরকীয়ায় সেলিম হাতে নাতে ধরা পরে বাধ্য হয়ে মেয়ে টা কে বিয়ে করছে।
ওর স্বামী পরকিয়ার জন্য মেয়েটাকে তালাক দিয়ে দেয় এবং মেয়ে টা সেলিম কে বিয়ে করতে বাধ্য করে।
যদি ও সেলিমের ইচ্ছে ছিল না বিয়ে করার তাও করতে হইছে। শাশুড়ী মা ও ২বছর পর স্টোক করেন।
নতুন বউ যত্ন নেয়নি ঠিক মতো ঔষধ দেয়নি, চিকিৎসার অভাবে বছর খানিকের ভিতরে মারা যান।
আমি একজন লেখক আর আমার গল্পগুলো পড়তে আমাকে রিকুয়েস্ট দিবেন এতে এইরকম ভালো ভালোব গল্প আমার টাইম লাইনে দেয়া সেখান থেকে পড়তে পারবেন। ধন্যবাদ।
তবে আমাদেরকে অনেক দেখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু আমাদের কোনো খোঁজ পাননি।। কথাগুলো শাশুড়ী মায়ের মৃত্যুর পরে শুনেছি গ্রামের একজনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল সে বলেছে আর আফসোস করেছে!
মোটামুটি সেলিমের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ তার মধ্যে তার একটা ছেলে হয়েছে প্রতিবন্ধী। সবকিছু মিলিয়ে সেলিম ভালো নেই। সেলিমের বয়স ৪০ এর ভিতরে কিনতু দেখতে নাকি ৬০+ লাগে শুধু রোগ এবং দুশ্চিন্তায়।
মোটেও ওর এমন পতন হোক আমি চাইনি আমি চেয়েছিলাম আল্লাহ যেন ওরে হেদায়েত করেন। ও নারীদের প্রচুর ক্ষতি করেছে বিবাহিত বা অবিবাহিত কেউ বাদ যায় নি ওর শুধু প্রয়োজন ছিল মেয়ে।
যৌবন সব সময় থাকেনা কিন্তু নিজের পাপের ফল নিজেকে ভোগ করতে হয়।
আমি আল্লাহর কাছে হাত পেতে চাইছি আল্লাহ আমাকে ফিরিয়ে দেন নি বরং আমারে ধৈয্যর ফল দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি খুব সুখী আছি।
এখন সেলিমের ছেলেটাকে হসপিটাল নিয়ে যাচ্ছি যদি কিছু উন্নত চিকিৎসা করানো যায় তাহলে একটা জীবন নয় ৩ টা জীবন বেচে যাবে আমার যতটুকু আছে সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব।
সেলিম ঢাকায় এসে আমার পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছে আমি বলেছি আমি অনেক আগেই ক্ষমা করে দিয়েছি এখন আল্লাহ কাছে ক্ষমা চাও আল্লাহ যেন ক্ষমা করে দেন।
ছাদে গিয়ে আকাশ দেখছি একটু আগে ও মেঘে কালো অন্ধকার ছিল আকাশ এখন কিছু বর্ষণের পর আকাশে কালো অন্ধকার চলে গেছে উঁকি দিয়েছে রংধনু। বৃষ্টি ভেজা দিনে ছাদে দাড়িয়ে আনমনে আকাশ দেখতে বেশ ভালো ই লাগছে মন্দ নয় তবে আমার তুমিটা থাকলে হয়তো আরেকটু ভালো লাগত আনমনে হাত ধরে বলতাম আমি হেরে যাইনি, আমি দুশ্চরিততা বা কলঙ্কী হয়নি আমি ও সমাজের একজন হতে পেরেছি, এটাই আমার জীবনের প্রাপ্তি সন্তানের আদর্শ মা এবং স্বামীর সৎ স্ত্রী হতে পেরেছি।
সমাপ্ত