Saturday, April 20, 2024
HomeHomeপরিসংখ্যানে পাকিস্তান বনাম ভারত | বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ | ভারত-পাকিস্তান মহারণও আজ

পরিসংখ্যানে পাকিস্তান বনাম ভারত | বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ | ভারত-পাকিস্তান মহারণও আজ

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই অন্যরকম উন্মাদনা। ইন্দো-পাকের এই মহারণ উত্তাপ ছড়িয়ে দেশ থেকে দেশান্তরে। এশিয়া কাপে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ট্রফি নিয়ে ঘরে ফেরে পাকিস্তান। ফলে প্রায় ১৫ মাস পরের এই ম্যাচ ভারতের কাছে প্রতিশোধের। শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের আগে ভারত-পাকিস্তানের কিছু পরিসংখ্যান:

১। দুই দল ১২৯ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে। ভারতের ৫২ ম্যাচের বিপরীতে পাকিস্তানের জয় ৭৩ ম্যাচে। বাকি ৪ ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
২। এশিয়া কাপে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১১ বার। এর মধ্যে ৫ বার করে জয় রয়েছে দুই দলের। বাকি ম্যাচটি পরিত্যক্ত।
৩। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৬ বার মুখোমুখি। পাকিস্তান জয় পেয়েছে ১৯ ম্যাচে। ভারত জয় পায় সাত ম্যাচে।
৪। দুই দলের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি ৬৯ ম্যাচ খেলেছেন শচীন টেন্ডুলকার।
৫। মুখোমুখি লড়াইয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫৬ রান ভারতের। আর পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান ৩৪৪।
৬। সর্বনিম্ন রানও ভারতের, ৭৯। পাকিস্তানের সর্বনিম্ন ৮৭।
৭। দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বাধিক ২৫২৬ রান করেছেন শচীন টেন্ডুলকার। ইনজামাম উল হকের সংগ্রহ ২৪০৩ রান।
৮। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৯৪ রান করেন পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার।
৯। এশিয়া কাপে শচীন টেন্ডুলকার ও সালমান বাট ৫টি করে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব দেখান।
১০। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সর্বাধিক ৬০ উইকেট নিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম।
১১। সেরা বোলিং নৈপুন্যে ৩৭ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানের আকিব জাভেদ।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা

ভারত বনাম পাকিস্তান,ভারত বনাম পাকিস্তান টেস্ট, পরিসংখ্যান পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া পরিসংখ্যান, ১৯৯৯ সালে ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ এ ১৪ মে অনুষ্ঠিত ম্যাচ টি কোন দেশ বনাম কোন দেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল?, ভারত কত সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ১৯৯৬ ,ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ চ্যাম্পিয়ন কোন দেশ, বিশ্বকাপ ফাইনাল,পরিসংখ্যানে পাকিস্তান বনাম ভারত , বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ

ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের লড়াই মানেই মর্যাদার। আর বিশ্বকাপের ম্যাচে এ লড়াই আরো বেশি।

ম্যাচ চলাকালে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি সমর্থকদের মধ্যেও বিরাজ করে উত্তেজনা। যদিও বিশ্বেকাপের এ উত্তেজনায় ভারতীয় সমর্থকরাই জয়ী।

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দল দু’টি পাঁচবার মুখোমুখি হয়ে সবগুলোতেই জয় তুলে নেয় ভারত। তবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দল দু’টির ১২৬ ম্যাচের মুখোমুখিতে পাকিস্তানের জয় ৭২টি। আর ভারতের জয় ৫০টি। ফলাফল হয়নি চার ম্যাচের।

‌একনজরে ভারত-পাকিস্তানের বিশ্বকাপের পাঁচ ম্যাচের পরিসংখ্যান:

আরও পড়ুন:Sachin Tendulkar Life Story in Bengali | শচীন তেন্ডুলকারের জীবনী

১৯৯২ বিশ্বকাপ
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পঞ্চম আসরেই প্রথমবার মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। ৪ মার্চ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারতীয় অধিনায়ক আজহার উদ্দিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ক্রিকেট লিজেন্ড শচীন টেন্ডুলকারের ৫৪ রানের কল্যাণে সাত উইকেটে ২১৬ রান করে ভারতীয়রা।

২১৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ১৭৩ রানে সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তানের সব ব্যাটসম্যান। আমির সোহেল (৬২) ও জাভেদ মিয়াদাদ (৪০) রান করেও দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেন নি। এর ফলে ৪৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারতীয়রা। ভারতের পক্ষে কপিল দেব, মনোজ প্রভাকার ও জাভাগাল শ্রীনাথ ২টি করে উইকেট নেন।

১৯৯৬ বিশ্বকাপ
এ আসরে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সাক্ষাত হয় কোয়ার্টার ফাইনালে। ৯ মার্চ ব্যাঙ্গালুরুতে নিজ মাঠে টস জিতে ব্যাটিং নেয় ভারত। শুরুতে নভজিত সিং সিধুর ৯৪ ও শেষ দিকে অজয় জাদেজার ২৫ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে পাকিস্তানকে ২৮৮ রানের টার্গেট দেয় স্বাগতিকরা।
জবাবে আমির সোহেল ও সাঈদ আনোয়ার পাকিস্তানকে চমৎকার শুরু এনে দিলেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় সে ম্যাচ ৩৯ রানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। ওই ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামের জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন আমির সোহেল।

ভারতের পক্ষে অনিল কুম্বলে ও ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ৩টি করে উইকেট তিনি। পাকিস্তানের ব্যাটিং কিংবদন্তি জাভেদ মিয়াদাদের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ ছিল ঔটি।

১৯৯৯ বিশ্বকাপ
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সুপার সিক্স পর্বের ম্যাচে ৮ জুন ম্যানচেস্টারে মুখোমুখি হয় আজহার উদ্দিনের ভারত এবং ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তান। তৃতীয়বারের এ মুখোমুখিতেও টস জিতে ব্যাট করে ছয় উইকেট ২২৭ রান সংগ্রহ করে ভারত। ম্যাচে ‘দ্য ওয়াল’ খ্যাত রাহুল দ্রাবিড় করেন ৬১ রান। এছাড়া অধিনায়ক আজহার উদ্দিনের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান। ব্যাটিং জিনিয়াস শচীনের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। পাকিস্তানের পক্ষে ১০ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ওয়াসিম আকরাম।

২২৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ ওভার ৩ বলে ১৮০ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান। এতে ৪৭ রানের জয় পায় ভারত। পাকিস্তানের পক্ষে ইনজামাম-উল-হক ৪১, সাঈদ আনোয়ার ৩৬ ও মঈন খান করেন ৩৪ রান। ভারতের পক্ষে মাত্র ২৭ রান দিয়ে পাকিস্তানের ৫ উইকেট তুলে নেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ।

২০০৩ বিশ্বকাপ
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ানে পাকিস্তানকে ছয় উইকেটে হারায় ভারত। ওই  ম্যাচে প্রথমবারের মতো টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক ওয়াকার ইউনূস। ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৭৩ রান করে পাকিস্তান। দলের পক্ষে বাঁহাতি ওপেনার সাঈদ আনোয়ার করেন ১০১ রান। ভারতের পক্ষে বাঁহাতি জহির খান ও অশিস নেহারা ২টি করে উইকেট নেন।

২ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও শচীন টেন্ডুলকারের ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণে ২৬ বল বাকি থাকতেই ছয় উইকেটে জয় তুলে নেয় ভারত। এছাড়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিং ৫০ ও রাহুল দ্রাবিড় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের পক্ষে ২ উইকেট নেন ওয়াকার ইউনুস।

২০১১ বিশ্বকাপ
উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত দশম বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দেখা হয় দু’দলের।   ৩০ মার্চ মোহালিতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে এবারও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ‘গড অব ক্রিকেট’ খ্যাত শচীন। ইনিংসে শচীনের ৮৫ রান ছাড়াও ওপেনার বীরেন্দ্র শেভাগ করেন ৩৮ রান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৬০ রান সংগ্রহ করে ভারত। পাকিস্তানের পক্ষে ওয়াহাব রিয়াজ ৫ উইকেট।

জয়ের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতেই ২৩১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। পাকিস্তানের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন মিসবাহ-উল-হক। এছাড়া মোহাম্মদ হাফিজ করেন ৪৩ রান। ভারতের পক্ষে জহির খান, অশিস নেহেরা, মুনাফ প্যাটেল, হরভজন সিং ও যুবরাজ সিং ২টি করে উইকেট নেন। ফলে ২৯ রানে পাকিস্তানকে হারিয়ে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।

এ বিশ্বকাপে এখানেই থ‍ামেনি ভারত। বিশ্বকাপ জয় দিয়ে মিশন শেষ করে তারা।

পাকিস্তানের পরাজয়ের কারণ
বিশ্বকাপ মঞ্চে ভারতের কাছে পাকিস্তানের টানা পরাজয়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সে সময়ের সাবেক ওপেনার রমিজ রাজা (এশিয়া কাপ চলাকালে) বাংলানিউজকে বলেন, চাপে পড়লে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ভেঙে পড়েন। দু’দলের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেটাররা চাপ জয় করেই ভালো খেলে।

তিনি বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানে শুধু ২২ গজের লড়াই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য’।

বাংলাদেশের সব খেলা কেন বিকেল ৪টায়, অফিস করতে হবে না—বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক চাকরিজীবীর অনুযোগ। এক ফুটবল অনুরক্তের আক্ষেপ—টি-স্পোর্টস তো বিশ্বকাপ দেখাবে, তাহলে এল ক্লাসিকো দেখব কী করে? এক ক্রিকেটই তো দম ফেলার ফুরসত দিচ্ছে না দর্শকদের। গতকাল শুরু হওয়া সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে ১১৮ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ উইকেটে হারাতে গিয়েও দর্শকদের কম রোমাঞ্চ উপহায় দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। রাতের ম্যাচে গত বিশ্বকাপ ফাইনালের নির্মম প্রতিশোধই নিয়েছে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুটিয়ে দিয়েছে মাত্র ৫৫ রানে। ৮.২ ওভারেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

এ দেশের ক্রিকেট আর ইউরোপিয়ান ফুটবলের অনুসারীরা সত্যিই জটিল সংকটে পড়েছেন। এর মধ্যে আজ রাতে আবার ভারত-পাকিস্তান মহারণ। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো ফরম্যাটে এই দুই দলের লড়াইয়ের আকর্ষণ দুই দেশেই সীমাবদ্ধ থাকে না। রাজনীতি, সমাজনীতিও চেপে বসে পাক-ভারত লড়াইয়ে। এই ম্যাচকে ঘিরে বাংলাদেশের ক্রিকেট দর্শকের উন্মত্ততা কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও নিজ দলের বাইরে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থক এখনো এ দেশে বেশি।

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ নিছকই খেলা নয়, এই ম্যাচের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এই যেমন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণার পর থেকেই অনেকে ২৪ অক্টোবরের ঘরে গোল চিহ্ন দিয়ে রেখেছে। দুই দেশের সংবাদমাধ্যমের ভাবভঙ্গি দেখে মনে হয়েছে, এই একটি ম্যাচই নির্ধারণ করবে শিরোপার গতিপথ। দুই দেশের সমর্থকরা মনে করে—এই একটি ম্যাচ কোনোভাবেই হারা যাবে না। সীমানার এপার-ওপারের রাজনীতিবিদরা স্টেটমেন্ট দেন। এবার ভারতের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তো ম্যাচটি বাতিলের আহবানও জানিয়েছেন! দুই দেশের বৈরিতার দীর্ঘ ইতিহাস এতটাই প্রভাব ফেলে ক্রিকেট ম্যাচে। সেটির রসায়ন দেখতে ২০০৪ সালে ভারতীয় দলের পাকিস্তান সফর দেখতে জার্মানি থেকে উড়ে এসেছিলেন এক সাংবাদিক! যথারীতি এবারও সুপার টুয়েলভের এই দ্বৈরথই সবচেয়ে বেশি দর্শক টানবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। আর লা লিগার বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচ শুরুর সময় সোয়া ৮টা। অগত্যা টি-স্পোর্টস কর্তৃপক্ষ এল ক্লাসিকোর রেকর্ডেড ভার্সন বিশ্বকাপ ম্যাচের পর দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অথচ বিশ্বকাপের মাঠে ভারত ও পাকিস্তানের হার-জিতের খতিয়ান অবিশ্বাস্যরকমের একতরফা। ১২-০, ভারতের পক্ষে! ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাতবার আর টি-টোয়েন্টিতে পাঁচবার। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টির শিরোপা ভারত জিতেছিল ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়েই। পরিসংখ্যানে ভারতকেই অবধারিত ফেভারিট মনে হবে। কিন্তু ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি শুরুতেই অতীতকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলেছেন, ‘আমরা কখনোই আমাদের রেকর্ড কিংবা নৈপুণ্য নিয়ে আলোচনা করি না। এসব নিয়ে ভাবলে ফোকাস নড়ে যায়। মূল বিষয় হলো, আমরা কিভাবে প্রস্তুতি নিলাম, নির্দিষ্ট দিনে সেসব মাঠে ঠিকঠাক করলাম কি না। প্রতিপক্ষ কোন দল, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ না।’ তবে তিনি জানেন, ‘আমি মনে করি পাকিস্তান খুবই শক্তিশালী দল। ওদের দলে কখনোই প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অভাব ছিল না। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে।’

আমিরাতে একসময় দুই দলকে নিয়মিত খেলতে দেখা যেত। ক্রিকেটজুয়ার অভিযোগে আইসিসির কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে শারজায় বলে-কয়ে ভারতকে হারাত পাকিস্তান। শারজা থেকে দুবাই তো মোটে মিনিট বিশেকের ড্রাইভ। বাবর আজমরা কি পারবেন আরবদেশে নব্বইয়ের দশকের মতো আজ ভারতের ওপর ছড়ি ঘোরাতে?

পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ ভুলে পুরো মনোযোগ রাখছেন বর্তমানে, ‘সত্যি কথা হলো, অতীত নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। ম্যাচের দিন আমরা আমাদের সবটুকু সামর্থ্য আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে ভালো ফল বের করার চেষ্টা করব। তা ছাড়া রেকর্ড তো ভাঙার জন্যই।’

বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে টানা হারের বৃত্ত ভাঙার শক্তিও আছে পাকিস্তানের। অধিনায়ক নিজে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের অন্যতম। বাবর আজমের নেতৃত্বে তারুণ্যনির্ভর দলে আছেন শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ হাফিজের মতো অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারও। সঙ্গে আছে অন্য এক জেদ। অতি সম্প্রতি নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তান সফর বাতিল করেছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। সেই থেকে দেশটির প্রধান ক্রিকেট কর্তা রমিজ রাজা থেকে শুরু করে বাবর আজমদের প্রতি আপামর ক্রিকেট অনুরক্তের দাবি—‘তোমরা বিশ্বকাপ জিতে জবাবটা দাও!’ নিঃসন্দেহে আবেগতাড়িত দাবি। তবে আবেগের নৌকায় চেপে কিন্তু ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান! ইংল্যান্ডের ওই আসর শুরুর মাস তিনেক আগে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশে ফিরে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল।

মাঠের লড়াই কি আর আবেগ দিয়ে জেতা যায়? লড়াইয়ের ময়দানে অতীত-ভবিষ্যৎ হারিয়ে যায় বর্তমানের ঝোড়ো হাওয়ায়। টি-টোয়েন্টিতে তো রীতিমতো তাণ্ডব চলে! মুহূর্তে বদলায় ম্যাচের রং। দুবাই স্পোর্টস সিটির উইকেটের চরিত্রের সঙ্গে ভারত-পাকিস্তান খুবই পরিচিত। পাকিস্তান তো দীর্ঘকাল তাদের হোম ম্যাচ খেলছে এখানে। আর সর্বশেষ আইপিএলের শেষাংশ খেলে বিরাট কোহলিরাও আমিরাতের মাটি চিনে ফেলেছেন। তাই কন্ডিশন দুই দলের ব্যবধান গড়ায় বড় কোনো ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা কম।

বলা যায়, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডই পাচ্ছে দুই দল। ব্যবধান গড়বে ব্যাট-বলের লড়াই। সেটিও নির্দিষ্ট দিনে, মানে আজকের নৈপুণ্য দিয়ে। বিশ্বকাপের কিংবা আমিরাতের অতীত কোনো ভূমিকা রাখবে না। ম্যাচ শেষে পরিসংখ্যানে শুধু যুক্ত হবে ভারত-পাকিস্তান আরেকটি মহারণের ফল।

দীর্ঘ দু’বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেই মহারণ (T20 World Cup) ফিরছে মরুদেশে। বিরাট কোহলি বনাম বাবর আজমের মধ্যে শেষ হাসি কে হাসেন, সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।

বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে এখনো জিততে পারেনি পাকিস্তান। ১২ বারের সাক্ষাতে ১২ বারই জয়ী ভারত। আর সেই একডজন জয়ের অভিজ্ঞতা নিয়েই আজ, সুপার সানডে-তে দুবাইয়ের বাইশ গজে নামবে টিম ইন্ডিয়া। প্রতিবারের মতো এবারো তাই ভারতই ফেভারিট। তবে সাম্প্রতিক অতীতে কুড়ি-বিশের ফরম্যাটে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সও নজর কেড়েছে। ফর্মে রয়েছেন বাবরসহ একাধিক ব্যাটসম্যান। তবে অতীত পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাবে, টি-টোয়েন্টি সাক্ষাতে অনেকটাই এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া।

টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রান রয়েছে বিরাট কোহলির ঝুলিতে। ছ’ম্যাচে তার নামের পাশে লেখা ২৫৪ রান। গড় ৮৪.৬৬। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তান তারকা শোয়েব মালিক। তার সংগ্রহ ১৬৪। ১৫৬ রান নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছেন আরেক পাকিস্তান ব্যাটসম্যান মহম্মদ হাফিজ। ১৫৫ রান করে এখনো চারে যুবরাজ সিং।

ব্যাটিং বিভাগের রেকর্ড ভারতের ঝুলিতে থাকলেও বল হাতে এগিয়ে পাকিস্তানই। সাবেক পাক পেসার উমর গুল টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১১টি উইকেট পেয়েছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে। তার পরে রয়েছেন ভারতীয় পেসার ইরফান পাঠান (৬), পাকিস্তানের মহম্মদ আসিফ (৫) এবং ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার (৫)।

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Subscribe to the Daily News Times bd.com YouTube channel and follow the Facebook page.

 

উক্ত আর্টিকেলের উক্তি ও বাণীসমূগ বিভিন্ন ব্লগ, উইকিপিডিয়া এবং .. রচিত গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

 

তথ্যসূত্র: Wikipedia, Online

Sourc of : Wikipedia, Online

 

ছবিঃ ইন্টারনেট

দৃষ্টি আকর্ষণ এই সাইটে সাধারণত আমরা নিজস্ব কোনো খবর তৈরী করি না.. আমরা বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবরগুলো সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি.. তাই কোনো খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ সবাইকে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

পরিসংখ্যানে পাকিস্তান বনাম ভারত | বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ | ভারত-পাকিস্তান মহারণও আজ



Hero

Welcome to the future of building with WordPress. The elegant description could be the support for your call to action or just an attention-catching anchor. Whatever your plan is, our theme makes it simple to combine, rearrange and customize elements as you desire.

Translate »