সভ্য দেশগুলোয় সমকামিতা বৈধ, সমকামীদের বিয়ে বৈধ, সমকামীদের সন্তান দত্তক নেওয়া বৈধ, সেই সন্তানের উত্তরাধিকার বৈধ। সভ্য হতে হলে এ সবই বৈধ করতে হবে।
নারী পুরুষের সম্পর্কই শুধু প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক, তা ঠিক নয়। যা প্রকৃতিতে বিরাজ করে, তা-ই প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক। প্রকৃতিতে সমকামিতার অস্তিত্ব আছে, তাই এটি প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক।
প্রকৃতিতে উভকামিতার অস্তিত্বও আছে, তাই উভকামিতাও প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক। বলতে পারো বিষমকামিতা বা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি যৌন আকর্ষণের সংখ্যা বেশি। যে কামিতা সংখ্যায় বেশি শুধু সেটিকে স্বাভাবিক বলবে, আর যে কামিতা সংখ্যায় কম, সেটিকে অস্বাভাবিক যদি বলো, তাহলে তুমি মূর্খ ছাড়া কিছু নও। মূর্খদের দাবি অনুযায়ী দেশের আইন আর সমাজের নিয়ম চললে সেই আইন এবং নিয়ম দুটোই হয় মূর্খ।
সরকার তার মূর্খামি ত্যাগ করে অতি দ্রুত সমকামীদের প্রাপ্য অধিকারে বাধা প্রদান বন্ধ করুক। বিষমকামীদের যা অধিকার, সমকামীদের একই অধিকার। পুরুষের যা অধিকার, নারীরও একই অধিকার। আসল কথা, মানুষের অধিকার সর্বত্র থাকা চাই এক এবং অভিন্ন।
সমকামীরা যদি একত্র বাস করতে চায়, তাদের একত্রবাসে যেন মূর্খ সমাজ বাধা না দেয়, যদি বিয়ে করতে চায়, তাদের বিয়েতে এবং বিবাহত্তোর জীবন যাপনে যেন মূর্খ সমাজ বাধা না দেয়, সরকারকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মে, লিঙ্গে,বিশ্বাসে, যৌন-আচরণে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।
সাহসী মেয়ে আঁখি আর বিলকিস অসভ্য সমাজকে সভ্য বানানোর ইতিহাস তৈরি করুক।