Fear Of Commitment: বিয়ে বা সম্পর্কে জড়াতে অযৌক্তিক ভয়! আপনি গ্যামোফোবিয়ায় আক্রান্ত নন তো?সাধারণত এই মানসিক অবস্থা নির্ভর করে পরিবেশ,পরিস্থিতি ও মানসিকতার বিকাশের উপর। এ ছাড়াও সম্পর্ক নিয়ে পূর্বের খারাপ অভিজ্ঞতা বা মা-বাবার বৈবাহিক অশান্তিও সন্তানের মনে এই ভয়ের সৃষ্টি করতে পারে।
বিয়ের ভরা মরসুম (Wedding Season)। সোশাল মিডিয়া (Social Media) খুললেই একের পর এক পোস্ট। কারও আইবুড়ো ভাত পর্ব শুরু হয়েছে। কেউ আবার গায়ে হলুদের ছবি পোস্ট করেছেন। কেউ বিয়ে সেরে নতুন পথচলার আপডেট দিয়েছেন ফেসবুক (Facebook)-ইনস্টাগ্রামে (Instagram)। এ তো গেল একাংশের কথা। অন্যদিকে রয়েছে আরও একটি অংশ। যাঁরা বিয়ে করতে ভয় পান। শুধু বিয়েই নয়, নতুন কোনও সম্পর্ক শুরু করতেও কার্যত হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে তাঁদের। চিকিৎসার ভাষায় একে ‘গ্যামোফোবিয়া’ (Gamophobia) বলা হয় অর্থাৎ প্রতিশ্রুতিতে ভীতি (Fear Of Committment)।
কীসের ওপর নির্ভর করে এই মানসিক অবস্থা
সাধারণত এই মানসিক অবস্থা নির্ভর করে পরিবেশ, পরিস্থিতি ও মানসিকতার বিকাশের উপর। এ ছাড়াও সম্পর্ক নিয়ে পূর্বের খারাপ অভিজ্ঞতা বা মা-বাবার বৈবাহিক অশান্তিও সন্তানের মনে এই ভয়ের সৃষ্টি করতে পারে।
গ্যামোফোবিয়া (Gamophobia) আক্রান্তদের মনে সর্বদাই বিবাহিত জীবন নিয়ে ভয় কাজ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অংশের মানুষ মনে করেন নতুন সম্পর্ক বা সাংসারিক জীবনে শুরু হলে ব্যক্তি স্বাধীনতার জায়গাটুকু খর্ব হতে পারে। পাশাপাশি তাঁরা এও ভাবেন সাংসারিক জীবনে তাঁরা মানিয়ে চলতে অক্ষম। আর এই আকাশ-পাতাল ভেবে সম্পর্ক শুরুর আগেই তাঁরা ধরে নেন যে সম্পর্ক ভেঙে যাবে। ফল সরূপ বিয়ে, সম্পর্ক নিয়ে অযৌক্তির ভাবনা ঘুরে বেড়ায় মাথায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা মনে করেন সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত
কী দেখে বুঝবেন আপনি এই সমস্যায় ভুগ
সাধারণত সম্পর্কের ব্যাপারে উদাসীনতা
এ বিষয়ে কথা এড়িয়ে যাওয়া
বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনও আলোচনা অপছন্দ করা
এই ধরনের অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়া।
বিয়ের লৌকিকতাকে অপছন্দ করা।
সিদ্ধান্তহীনতাও গ্যামোফোবিয়ার একটি লক্ষণ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সমস্যা আপনার মনে বাসা বাঁধছে বুঝতে পারলেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি এক্ষেত্রে সেলফ হেল্পও অন্যতম পথ। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন মনোবিজ্ঞানিরা।
ডিসক্লেইমার: কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি/নিয়ম ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। । । ।।ছেন।