দাদাকে মনে মনে ভালবাসত। তাকে বিয়ে করেই সংসার বাঁধতে চেয়েছিল। মনের কথা জানিয়েওছিল। কিন্তু প্রত্যুত্তরে জোটে কেবল প্রত্যাখ্যান। পরিবর্তে অন্য একজনকে বিয়ে করেন দাদা। সেই রাগে চরম পদক্ষেপ নিল যুবতী। আর তার রোষের মুখে পড়লেন নববধূ।
পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুক থানার শ্রীরামপুর অঞ্চলের গোপিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা রিয়া দাস। বছর ১৮-র ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় নন্দকুমার থানার সাওড়াবেরিয়া জালপাই ১ নম্বর অঞ্চলের রুপাহার গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যুৎ দাস অধিকারীর। সেই বিয়েকে ঘিরে দুই বাড়িতেই ছিল আনন্দের পরিবেশ। কিন্তু বউভাতের দিন মুহূর্তের মধ্যে সেই আনন্দই বদলে গেল চরম বিষাদে। জানা গিয়েছে, বউভাতের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিল বিদ্যুৎ দাস অধিকারীর পাতানো বোন পূজা মণ্ডল। চোখের সামনে নিজের ‘মনের মানুষ’কে অন্যের হয়ে যেতে দেখতে পারেনি সে। প্রতিহিংসার বশে চরম পদক্ষেপ নেয় পূজা।
পরিবারের অভিযোগ, বউভাতের দিন নববধূ রিয়া দাসের ঠান্ডা পানীয়তে বিষ মিশিয়ে দেয় পূজা। সেই পানীয় খেয়ে বমি করতে থাকে নববধূ। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তমলুকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নার্সিংহোমের তরফে তাঁকে কলকাতা রেফার করা হয়। কিন্তু এরপর আর শেষরক্ষা করে যায়নি। নববধূ রিয়া দাসের মৃত্যু হয়।
এরপর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পূজা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে নন্দকুমার থানার পুলিস। বুধবার তাঁকে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেলা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার।
আরও পড়ুন: সক্রেটিসের একটি শিক্ষনীয় গল্প Scrotis golpo সক্রেটিসের একটি শিক্ষনীয় গল্প