১৯০০ সাল। গ্রিসের সিমি দ্বীপের এক দল স্পঞ্জ সংগ্রহকারী ডুবুরি অ্যান্টিকিথেরা দ্বীপের কাছে সমুদ্রের ৪৫ মিটার গভীরে ডুবে থাকা এক প্রাচীন রোমান জাহাজের সন্ধান পান। সেই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু দামি প্রত্নবস্তু। যার মধ্যে ছিল ব্রোঞ্জ ও মার্বেল পাথরের মূর্তি, রঙিন পাত্র, কাচের সরঞ্জাম, গয়না, প্রাচীন মুদ্রা ইত্যাদি। সেই সঙ্গে পাওয়া যায় এক রহস্যময় বস্তু। সেটি যে ঠিক কী, তা সেই ডুবুরিরা বুঝতে পারেননি।
জল থেকে তুলে আনা সমগ্রীর মধ্যে প্রাপ্ত রহস্যময় বস্তুটি যে একটি যন্ত্র, সেটা উদ্ধারকারীরা বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু তার প্রকৃত চরিত্র বুঝতে পারেননি তাঁরা। তাই সেই বস্তুর ঠাঁই হয় এক সংগ্রশালায়।২০১৪ থেকে ২০১৭-এর মধ্যে বিস্তারিত গবেষণা চলে যন্ত্রটিকে নিয়ে। তার মধ্যে গ্রিক ত্রিকোণমিতির প্রয়োগও লক্ষ করেন গবেষকরা। অনুমান করা হতে থাকে, এটি জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার একটি জটিল যন্ত্র। গবেষণা গড়াতে থাকে ২০২০ সালেও।