এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমকামি বিয়েকে বৈধ ঘোষণা করল তাইওয়ান। গত বছরের মে মাসে সমলিঙ্গের বিয়ের পক্ষে রায় দিয়েছে দেশটির আদালত। এর আগে ২০১৮ সালে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে সমকামিতাকে বৈধ করে দিয়েছেন। অবশ্য দেশটিতে এখনো এমন বিয়ে বৈধ করা হয়নি। মাল্টায় এই ধরণের বিয়ে বৈধতা পায় ২০১৭ সালে। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরণের বিয়েকে বৈধতা দেওয়ার প্রবণতা যেন অনেকটাই বেড়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশে সমকামী বিয়ে বৈধ করা হয়েছে। এরমধ্যে অর্ধেকের বেশি দেশই ইউরোপের।
ইউরোপ
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সমকামি বিয়ে বৈধ হয় নেদারল্যান্ডসে। ইউরোপের এই দেশটি এই ধরণের বিয়েকে বৈধতা দেয় ২০০১ সালে। আর ২০১১ সালে সমকামী বিয়ে বৈধ হওয়ার ১০ বছর পূর্তিও পালিত হয় দেশটিতে।
আফ্রিকা
আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে সমকামি বিয়ে বৈধ হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০০৬ সালে থেকে সমকামী বিয়ে বৈধ হয় দেশটিতে। সেইসাথে একই সময় থেকে সন্তানেরও অভিভাবক হওয়ার অনুমতিও পায় তারা।
লাতিন আমেরিকা
লাতিন অ্যামেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে সমকামি বিয়ে বৈধ করে আর্জেন্টিনা। ২০১০ সালে এরকম বিয়ের বৈধতা দেয় দেশটি। এরপর ঐ মহাদেশের ব্রাজিল, উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া ও বলিভিয়ায়ও সমকামী বিয়ে বৈধ করা হয়েছে।
ওশেনিয়া
ওশেনিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমকামি বিয়ে বৈধ হয় নিউজিল্যান্ডে। জাসিন্ডা আরডার্নের নিউজিল্যান্ডে এই ধরণের বিয়ে বৈধ হয় ২০১৩ সালে। ওশেনিয়ার সবচেয়ে বড় দেশ অস্ট্রেলিয়ায়ও এখন সমকামি বিয়ে বৈধ।
উত্তর আমেরিকা
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে সমকামী বিয়ে বৈধ ঘোষণা করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তাছাড়া, উত্তর অ্যামেরিকার আরেক দেশ ক্যানাডা ও মেক্সিকোর পাঁচটি রাজ্যেও এখন এই ধরণের বিয়ে বৈধ।
এশিয়া
এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমকামি বিয়ে বৈধ ঘোষণা করে তাইওয়ান। গত বছরের মে মাসে এমন ঘোষণা দেয় দেশটি। সেইসাথে এর আগের বছর ২০১৮ সালে সমকামিতাকে বৈধ ঘোষণা করে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত।
ইউরোপের অন্যান্য দেশ
ইউরোপের অন্যান্য দেশ হিসেবে ২০০৩ সালে বেলজিয়াম, ২০০৫ সালে স্পেন, ২০০৯ সালে নরওয়ে ও সুইডেন, ২০১০ সালে পর্তুগাল ও আইসল্যান্ড, ২০১২ সালে ডেনমার্ক, ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে, ২০১৪ সালে ফিনল্যান্ড এবং ২০১৫ সালে গ্রিস ও আয়ারল্যান্ডে সমকামী বিয়ের বৈধতা দেয়া হয়। ইউরোপের আরেক দেশ লুক্সেমবুর্গেও সমকামী বিয়ের বৈধতা দেয়া হয় ২০১৫ সালে। তখন বৈধতার মাত্র চার মাস পর নিজের সমকামি সঙ্গীকে বিয়ে করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।