হুররে কি আনন্দ!
আমি আমার দেহ যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দান করেছি আজ।
আমি মরে গেলে আমার চোখ দুটো দিয়ে কোনো অন্ধজন আবারও এই পৃথিবীর আলো দেখতে পাবে; দেখতে পাবে তার আত্মীয়স্বজনদের।আমার কিডনি নিয়ে বেঁচে যাবে কেও কেও। আমার দেহের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলোও মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপিত হবে।
মানুষের অনেক উপকারে আসবে আমার দেহটা। ভাবতেই ভালো লাগছে।
ঝর্ণা নাস্তিক হয়ে গেছে, ছোট কাপড় পরেছে, এবং এক হিন্দুকে বিয়ে করেছে। তসলিমা নাসরিন
আমার দেহের হাড়গোড় কঙ্কাল এদেশের মেডিকেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও গবেষণা কাজেও লাগবে। উপকৃত হবে শিক্ষার্থীরা। উপকৃত হবে দেশ ও দেশের মানুষ।
উন্নতি ঘটবে এদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের।
আহা! কি শান্তি! কি শান্তি!
আমার একমাত্র ধন ও সম্পত্তি ছিল কেবল আমার এই হালকা পাতলা দেহটা।
সেই দেহটার মালিকানাও আজ থেকে আমি নই।
এই দেহ আজ থেকে দেশের সব মানুষের।
এই দেহ আজ থেকে রাষ্ট্রের।
রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি আজ থেকে আমার দেহ।
দেশকে ভালোবাসি বলে, দেশের মানুষকে ভালোবাসি বলে পৃথিবীর সব ধর্মের জাতের মানুষদের ভালোবাসি বলে আমার একমাত্র সম্বল আমার দেহটাও দান করে দিলাম।
আমি আর ‘আমার’ বলে কিছু রাখলাম না এ জীবনে।
আমার দেহদানের জন্য যে মানুষটার কাছে চীর কৃতজ্ঞ সেই মানুষটার নাম Quazi Faridul Islam যশোর আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট।
পুলিশ কর্মকর্তা Ajad Hoshain ফেসবুকে যুক্তপ্রিয় ইমরান নামে পরিচত যে ভাই ও আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা Maniruzzaman Manir ভাইকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সবসময়ই আমার পাশে থাকার জন্য। এছাড়াও আমার সকল ফেসবুক বন্ধুদেরকেও অসংখ্য ধন্যবাদ যারা অতীতে আমি দেহদান করার বিষয়ে ইচ্ছে প্রকাশ করে পোষ্ট দেওয়ায় আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিল।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত