কর্নাটক ভারতে বলেই সেখানে মুসলিম মেয়েরা হিজাব বোরখার জন্য আন্দোলন করছে। হিজাব বোরখা কোন নারীর চয়েজ নয়। যদি মুসলমানরা এমনটা বিশ্বাস করত তাহলে ইরানে হিজাব বোরখার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে নারীদের জেলে যেতে হতো না। আফগানিস্থানে উন্মক্ত মাথায় মেয়েরা চলাফেলা করলে তাদের গুলি করে মারা হবে। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে শরীয়া আইন থাকায় সেখানে হিজাব বোরখা না পরলে মেয়েদের শরীয়া পুলিশ ধরে পেটায়।
কোন ছেলের সঙ্গে কোন মেয়ে গোপনে দেখা করতে গেলে বেত্রাঘাত করা হয়। মুসলিম রাষ্ট্রগুলির যেখানে শরীয়া শাসন, আধা শরীয়া শাসন, কিঞ্চিত শরীয়া শাসন জারি আছে কোথাও জিজাব বোরখা পরাকে মেয়েদের চয়েজের উপর ছেড়ে দেয়া হয়নি। এগুলো পরা বাধ্যতামূলক না পরলে জরিমানা। কিন্তু যখন এই মুসলিম নারীরাই গণতান্ত্রিক সেক্যুলার পাশ্চত্য দেশে যাচ্ছে তখনই তাদের কাছে হিজাব মাই চয়েজ হয়ে যাচ্ছে! ভারতের মত দেশকে মুসলিম ভাবধারায় ফুটিয়ে তুলতেই সেখানে মুসলিম সংগঠনগুলি স্কুল কলেজে মুসলিম মেয়েদের মাধ্যমে হিজাব বোরখা পরিয়ে পাঠানো হয়। প্রতিষ্ঠানের ড্রেসকোড মান্য না করে জোর করে হিজাব বোরখা পরে যখন বাঁধার সম্মুখিন হয় তখন ‘ইসলামফোবিয়ার’ চিত্কার করে মিডিয়া কভারেজ নেয়াই তাদের উদ্দেশ্য। আমেরিকাতে লিবারালদের ম্যানেজ করে যেমন করে বাংলাদেশী নাজমা বেগম ‘হিজাব দিবস’ আদায় করে নিয়েছে। এই নাজমা কি জানত না তার জন্মস্থান বাংলাদেশে মেয়েরা মাথায় কাপড় না দিলে তাদের চরিত্রহীন কুলটা বলা হয়? তবু সে আমেরিকার সাদাদের বুঝাতে গেছে মুসলিম নারীদের জন্য হিজাব হচ্ছে চয়েজ। সে এটা পরতে চায় তাকে পরতে দাও…।
ইরান, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়াতে যখন নারীদের মাথায় কাপড় না পরার জন্য শাস্তি পেতে হয় তখন কিন্তু এই চয়েজবাদীরা প্রতিবাদ জানায় না। সেসব দেশের বাধ্যতামূলক বোরখা হিজাব পরার আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় না। এতেই এদের শঠতা বুঝা যায়। এরা অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে থাকলে সেক্যুলার শাসন দাবী করবে কিন্তু নিজেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেই ইসলামী শাসন চাইবে। গোটা বিশ্ব এই ভন্ডামীটা এথন ধরে ফেলেছে। ধরে ফেলেছে বলেই ব্যবস্থা নেয়া শুরু হচ্ছে। নেয়া হচ্ছে বলেই ‘ইসলামফোবিয়া’ কান্নাকাটিও বেড়ে গেছে…।
Source of facebook