শুধু অর্থ আর আভিজাত্য মানুষকে সব কিছু পাইয়ে দেয় না। এজন্য প্রয়োজন প্রবল ইচ্ছাশক্তির। পান এমনই ইচ্ছাশক্তির অধিকারী এক পান দোকানির মেয়ে আসমা হয়েছেন বিসিএস ক্যাডার!
রাজশাহীর প্রত্যন্ত গ্রাম আড়ানীর বাসিন্দা আসমা খাতুন। আসমার বাবা শুকুর আলী ৭০ এর দশকে বাদাম বিক্রি করতেন। বর্তমানে আড়ানি বাজারে তার ছোট্ট একটি পানের দোকান রয়েছে। বাবার অভাবের সংসারের মাঝেও নিজেকে মেলে ধরেছেন আসমা খাতুন। শুধু নিই নয়, ছোট্ট আড়ানি গ্রামকে আলোকিত করেছেন আসমা।
আসমা ৩৪তম বিসিএসের মাধ্যমে হয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। চার ভাইবোনের মধ্যে আসমা খাতুন সকলের বড়। তাই সংসারের হাল ধরতে তাকেই এগিয়ে আসতে হবে। এমন ভাবনা থেকেই সামনের দিকে এগিয়ে চলা আসমা খাতুনের। ছোটবেলায় বাবার কাছেই বর্ণমালার হাতেখড়ি হয়েছে আসমার।
রোজ একটি করে নতুন ইংরেজি শব্দ শিখতে চান? Google খুললেই হবে, কীভাবে জানুন?
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, প্রাথমিক এবং অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তির পর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে গণ্ডি পেরিয়েছেন অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেন আসমা। বর্তমানে তিনি বিসিএস ক্যাডার।
আসমা খাতুন বলেন, অভাবের তাড়নায় একসময় আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। আমি যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়ি তখন প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পেয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজাল্ট ভালো ছিল তাই চাকরিটা করিনি। তখন বাবা কিছুটা রাগ করেছিলেন আমার ওপর। পরে অবশ্য তিনি তার ভুল বুঝতে পারেন।
ফেসবুক বলুন কিংবা টিকটক, সামাজিক মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতারাই ‘অসামাজিক’
বাবা শুকুর আলী বলেন, আট শতকের মতো জমি রয়েছে, এটাই আমার সম্পদ। আর আমার ছেলে-মেয়েরাই আমার স্বপ্ন। শত অভাবের মধ্যেও আসমা তার সাফল্য ধরে রেখেছে। আমি সত্যিই একজন গর্বিত বাবা।