- ভালোবাসার টানে তুরস্কের মেয়ে এখন ময়মনসিংহের বউ
- ভালোবাসার টানে এবার তুরস্ক থেকে ৬ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন তুর্কি মেয়ে আয়েশা গুলতেকিন। তুরস্কের একই হাসপাতালে কাজের সূত্র ধরে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার ছেলে হুমায়ূনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। ভাষাগত দুর্বোধ্যতা থাকলেও মাত্র ১০ দিনেই ভিনদেশি এই মেয়ে বাংলা সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নিয়েছেন নিজেকে।
- ভালোবাসার টানে তুরস্কের মেয়ে এখন ময়মনসিংহের বউ
সাদিকুর রহমান
১ মিনিটে পড়ুন
তুর্কি ভাষায় গানের মাধ্যমে জীবনসঙ্গীর প্রতি নিজের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করেন ভিনদেশি মেয়ে আয়েশা। গানের কথায় নিজের পছন্দের মানুষের প্রশংসা করেন তুর্কি মেয়ে। তুরস্কের একটি হাসপাতালে একসাথে কাজ করার সময় প্রেম হয় তাদের। ৪ বছরের সম্পর্ক এখন রূপ নেয় বিয়েতে।
তুরস্কে এমবিবিএস পাস করা ময়মনসিংহের হুমায়ূন জানালেন, ১১ বছর আগে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়তে তুরস্কে পাড়ি জমান তিনি। পরে হাসপাতালে চাকরির সময় আয়েশার সাথে সম্পর্কের চার বছর পর তারা বিয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এদেশে আসার পর মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে বাংলা সংস্কৃতিকে ভালো লাগতে শুরু হয় তুর্কি মেয়ে আয়েশার।
আয়েশার স্বামী হুমায়ূন বলেন, আগে তুরস্কে থাকা অবস্থায় আয়েশা জিন্স টি-শার্ট পরলেও এখন তিনি শাড়ি পরতে বেশি পছন্দ করেন। এছাড়া বাংলা যে কোনো খাবার খেতে পারেন।
আরও পড়ুন: জমকালো আয়োজনে খর্বাকৃতির তরুণ-তরুণীর বিয়ে
তুরস্কের মেয়েকে নিজের ছেলের বউ হিসেবে পেয়ে খুশি আয়েশার শাশুড়ি। তিনি বলেন, প্রথমে বিদেশি বউকে নিয়ে চিন্তিত থাকলেও অল্প সময়ের ব্যবধানে ভিনদেশি মেয়েকে আপন করে নিয়েছেন তিনি। এমন কি আত্মীয় স্বজনরাও আয়েশার ব্যবহার, আচার আচরণে সন্তুষ্ট।
হুমায়ূনের পরিবার বলছে, এই বিয়ের মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র ২টি পরিবারই নয়, বন্ধন সৃষ্টি হচ্ছে দুই দেশের সংস্কৃতিরও। বাংলাদেশের মানুষকে ভালো লাগে তুর্কি মেয়ে আয়েশার, আর তাই এদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান তিনি।