পরিমিত জল খেলেও সঠিকভাবে আমরা অনেকেই জল খাই না। আসলে জলের বিশুদ্ধতা নিয়ে সজাগ থাকলেও ঠিকভাবে জল খাওয়ার দিকে খুব একটা নজর দিই না। অনেক সময়ই কেউ কেউ ঢকঢক করে একসঙ্গে অনেকটা জল খেয়ে নেন৷ কিন্তু জল পানের সময় বেশ কিছু নিয়ম না মানলে তা স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। গ্লাসে কতক্ষণ জল রাখা যায় থেকে শুরু করে কী ভাবে আমরা জল পান করছি, সব কিছুই নিজেকে হাইড্রেট রাখার এবং তৃষ্ণা মেটানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন:
সঠিকভাবে জল পানের গুরুত্ব
সুস্থতার জন্য যথেষ্ট জল পান করা খুবই জরুরি। জল শুধুমাত্র শরীরকে হাইড্রেটই করে না, একই সঙ্গে আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের করে, জয়েন্ট লুব্রিকেট করে এবং অন্যান্য অঙ্গগুলির কাজে সাহায্য করে। সব মিলিয়ে সুস্থ ও ফিট থাকতে জলের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সঠিকভাবে জল পান না করলে আমরা জলের উপকারিতাগুলি পাব না।
আরও পড়ুন:
স্বাদে পার্থক্য
দীর্ঘক্ষণ বা সারা রাত রেখে দেওয়ার পর জলের স্বাদে পরিবর্তন খেয়াল হয়েছে? অবশ্যই পাওয়া উচিত। কার্বন ডাই অক্সাইডের জন্য আমরা স্বাদের পরিবর্তন অনুভব করি। ১২ ঘন্টা ধরে না ঢেকে জল রেখে দিলে জলে আণবিক পরিবর্তন ঘটে। এক্ষেত্রে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড জলের সঙ্গে মিশতে শুরু করে, পিএইচ স্তরকে কমিয়ে দেয়। যার ফলে জলের স্বাদ ভিন্ন হয়ে যায়৷ তার মানে এই নয় যে এই জল খাওয়া নিরাপদ নয়। আবার কলের জল প্রায় ছয় মাস খাওয়া যায়৷ কিন্তু চোখে দেখতে না পেলেও ঢেকে না রাখা জল খেলে জলের স্তরে থাকা নোংরাও আমাদের শরীরে প্রবেশ করে৷বোতল থেকে জল খাওয়াসকালে ঘুম থেকে উঠে সারা রাত বোতলে রাখা জল খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কিংবা কখনও কখনও আমরা সারা দিন গাড়িতে বোতলে রাখা জল খেয়ে থাকি৷ বোতল থেকে জল খেলে বিশেষত বোতলে মুখ দিয়ে জল খাওয়া সকলের জন্য নিরাপদ নয়। কারণ বোতলে মুখ দিয়ে জল খেলে বোতলের গায়ে লেগে থাকা নোংরা, ধুলো ইত্যাদি জলে মিশে যায়। এমনকি আমাদের লালায় থাকা অজস্র ব্যাকটেরিয়াও বোতলের জলে মিশে যায়। ফলে এই জল পান করলে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আবার কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত কারোও বোতল থেকে জল খেলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
জলপানের সঠিক পন্থা
যখনই সম্ভব হবে কোনও কল অথবা ফিল্টার থেকে গ্লাসে জল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে৷ সারা রাত কোনও বোতলে জল রাখলে সরাসরি বোতল থেকে জল না খেয়ে গ্লাসে ঢেলে জল খাওয়া উচিত৷ একই সঙ্গে বাইরে বেরোলে বোতলে মুখ দিয়ে জল না খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। গাড়িতে রাখা বোতলের জলও নিয়মিত পরিবর্তন করা উচিত।