ওজন কমাতে হলে অবশ্যই মেপে মেপে খেতে হবে। সেক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার সময়ও। চাইলেই অনেকটা এক সঙ্গে খাওয়াখাওয়া যাবে না। জানতে হবে কোন খাদ্যে ক্যালারি কতটুকু। তা না হলে ওজন কমাতে গিয়ে তার বিপরীত ঘটতে পারে।
ভাল স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে কিছু স্বাস্থ্যকর খাদ্য রয়েছে যেগুলো আপনার ওজন হুর হুর করে বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণে এতে বিদ্যমান ক্যালারি। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই ক্যালারি গুনে খেতে হবে বা এর সম্পর্কে জানতে হবে।
আসুন জেনে নিই এমন কিছু স্বাস্থ্যকর খাদ্য যা আপনার ওজন বাড়িয়ে দিবে।
১. বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুট:
বাদাম ছোট বলে অনেকেই বেশি পরিমাণে এক সঙ্গে খেয়ে ফেলেন। কিন্তু বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালারি যা শরীরের ক্যালারি বাড়িয়ে দেয়। তবে যেহেতু বাদামে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে, তাই পুরো দিনে এক মুঠো নানা ধরনে বাদামের সঙ্গে ড্রাই ফ্রুট খাওয়া যায়।
২. গ্রানোলা বার:
কম ক্ষুধার জন্য বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের গ্র্যানোলা বার পাওয়া যায়। যা অনেকেই স্বাস্থ্যকর মনে করেই খেয়ে থাকেন। কিন্তু এতে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত চিনি, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন: আপনজনের মৃত্যুর স্বপ্ন দেখলে যা হয়
৩. স্মুদি বা ফলের রস:
একটি কমলা খেলে যতটা ক্ষুধা নিবারণ হয়, সে পরিমাণ ক্ষুদা নিবারণের জন্য যে পরিমাণ ফলের রস খেতে হয়, সেটি বানাতে প্রয়োজন ৩ থেকে ৪টি কমলা। তাই ফলের রসে পুষ্টি এবং ক্যালারিও বেশি থাকে। তাই যদি ওজন কমানোর জন্য ফলের রসের চেয়ে পুরো ফল খাওয়াই উত্তম।
৪. গ্লুটেন ফ্রি খাবার:
অনেকেই মনে করে থাকেন, খাদ্যে গ্লুটেন না থাকলে, সেটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি। তবে বেকারি অনেক গ্লুটেন ছাড়া খাবার রয়েছে যাতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ এবং চিনি দেওয়া থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর থাকে।
৫. বেকড খাদ্য:
ইদানিং দেখা যায় অনেকেই তেল না খাওয়ার জন্য আলু বেক করে খান। তবে এতেও অতিরিক্ত লবণ থাকতে পারে। তাই বেক করা মানেই তা স্বাস্থ্যকর, এ ধারণা একদম সঠিক নয়।