পৃথিবীর জন্য বিপদ বয়ে আনছে সূর্যের মতো একটি নক্ষত্র! বিজ্ঞানীরা এই প্রথমবার সূর্যের মতো এক নক্ষত্রের মধ্যে বিস্ফোরণের পূর্বাভাস পেয়েছেন। সূর্যের থেকে ১০ গুণ বেশি বিচ্ছুরণের সম্ভাবনার (আশঙ্কাও বলা চলে) কথা জানিয়েছেন তাঁরা। পৃথিবী থেকে কয়েক ডজন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ওই নক্ষত্রটিতে জ্বালানি এবং চার্জযুক্ত কণার বিস্ফোরণের ইঙ্গিত মিলেছে।
সৌরঝড় সৌরঝড় সূর্যে যে বিস্ফোরণ দেখা যায়, তা সৌরঝড় হিসাবে পরিচিত। সূর্য নিয়মিতভাবে এই ধরনের অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়। এগুলি অত্যন্ত উষ্ণ কণা বা প্লাজমা-মেঘ দ্বারা গঠিত। যা প্রতি ঘন্টায় মিলিয়ন মাইল বেগে মহাকাশে বিচ্ছুরিত হয় এবং আঘাত করে।
শক্তিশালী বিচ্ছুরণ শক্তিশালী বিচ্ছুরণ সূর্যের থেকে ১০ গুণেরও বেশি ওই শক্তিশালী বিচ্ছুরণ দেখার জন্য ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডোর জ্যোতির্বিদ ইউটা নটসুর নেতৃত্বে একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাটিতে এবং মহাকাশে টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছিলেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে নক্ষত্রটি জ্বলন্ত-গরম প্লাজমার একটি বিপুল মেঘ বের করে দেয়!
গরম প্লাজমা গরম প্লাজমা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, জ্বলন্ত গরম প্লাজমার এই ইজেকশনে মহাকাশে আবহাওয়া কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা তাঁরা অনুমান করতে চেষ্টা করেছেন, করছেন, করবেনও। ল্যাবরেটরি ফর অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যান্ড স্পেস ফিজিক্সের গবেষণা-সহযোগী নটসু জানিয়েছেন– এই করোনাল ভর নির্গমন পৃথিবী এবং মানবসমাজে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে!
তারার শিখা তারার শিখা করোনাল ভর নির্গমন প্রায়ই তারার শিখার আকার নেয় বা এর ফলে উজ্জ্বল বিকিরণ নির্গত হয়। যা ছড়িয়ে পড়ে মহাকাশে (এই ধরনের ভর নির্গমন সূর্যেও ঘটতে পারে)। এবং এর ফলে যা মহাজাগতিক ঘটনা ঘটে তার সূত্রে বহু বহু বছর ধরে পৃথিবী, এমনকী মঙ্গলও প্রভাবিত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে গবেষণায়।
সুপারফ্লেয়ার সুপারফ্লেয়ার এই ঘটনাকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন– সুপারফ্লেয়ার। যা সৌরশিখার মতো। সূর্য নিয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানীরা বলেন, সূর্যেও ঘটনাগুলি ঘটে। তবে সূর্যে এই ক্রম তুলনামূলকভাবে শান্ত। অন্তত এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা তেমনই পর্যবেক্ষণ করেছেন। নটসু এবং তাঁর সহকর্মীরা একটি সমীক্ষায় দেখিয়েছেন, গ্যালাক্সির চারপাশে সূর্যের মতো নবীন নক্ষত্রগুলি ঘন ঘন সুপারফ্লেয়ার অনুভব করে।