Wednesday, October 29, 2025
Home Blog Page 8

স্নাতক পাশ করা সুপ্রিয়ার ৫ হাজার টাকায় শুরু করা ব্যবসা এখন ৫০ কোটিতে ছাড়িয়েছে!

0

কিছু করো, না হয় মরো – এমন একটা অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েক বছর আগেও। চারুকলা থেকে স্নাতক পাশ করার পরই পরিবার বিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু, নিজের আলাদা একটা পরিচয় তো বানাতে হবে, স্বপ্ন তো পূরণ করতে হবে। তাই পরিবারের কাছে এক বছর সময় চাইলেন। চাইলেন বললে ভুল বলা হবে, বলা ভাল ভিক্ষা করে একটা বছর নিলেন।

বাকিটা ইতিহাস। পরিশ্রম দিয়ে তিনি এখন সফল। তিনি হলেন সুপ্রিয়া সাবু। কোনো পুঁজি ছিল না, ছিল না ব্যবসায়িক কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা। কেবল, নিজের ভাগ্যটা পরীক্ষা করার আগে বিয়ে হয়ে যাওয়ার ভয় পেতেন। যাত্রা শুরু করেছিলেন মোটে পাঁচ হাজার রুপি নিয়ে, সেখান থেকে বানিয়েছেন ৫০ কোটি রুপির সাম্রাজ্য।

কৌশলে পড়াশোনা করলে বিসিএস জয় করা সম্ভব

0

মো. হারুনুর রশিদ ৩৮তম বিসিএসে রেলওয়ে (পরিবহন ও বাণিজ্যিক) ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন। তার জন্ম নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায়। বাবা মো. মজিবুল হক চাকরিজীবী ছিলেন। মা জুলেখা বেগম গৃহিণী। হারুন ২০০৬ সালে নোয়াখালীর ছাতারপাইয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৮ সালে নোয়াখালীর চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

বড় ভাইয়ের উৎসাহে বিসিএসের স্বপ্ন দেখেন নিরুপম

0

নিরুপম মজুমদার ৩৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন। বাবা রেবতী মোহন মজুমদার, মা শৈবলনী মজুমদার।

নিরুপম নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চরপার্বতী এস সি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন টেকনোলজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

ট্রাকের হেলপার থেকে বিসিএস ক্যাডার! অদম্যপ্রান এই তরুনের গল্পটি হোক লাখো শিক্ষার্থীর অনুপ্রেরণা

0

পড়াশোনার খরচ আর পরিবারের দায় মেটাতে এক সময় ট্রাকের হেলপার (ট্রাক চালকের সহকারী) ছেলেটিই তার অদম্য ইচ্ছার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজ বিসিএস ক্যাডার। জন্ম কুড়িগ্রাম জেলা সদরের পলাশবাড়ির চকিদার পাড়ায়। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে শফিকুল পরিবারের চতুর্থ সন্তান সে । …. এক জোড়া প্যান্ট শার্ট দিয়ে পুরো স্কুল জীবন পার করতে হয়েছিল তার । স্কুলে একবার নিয়ম করা হলো পায়ে জুতো ছাড়া কেউ স্কুলে আসতে পারবে না। অনন্যোপায় ছেলেটি স্কুলে গেল খালি পায়েই । বসল সবার পেছনে যাতে শিক্ষকের নজরে না পড়ে। শিক্ষক রণহুঙ্কারে ঘোষণা করলেন আজও যারা জুতো ছাড়া এসেছে তারা যেন ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়। আর যারা পরদিন জুতো পরে আসতে পারবে না তাদের স্কুলে আসার দরকার নেই। ………… পরদিন কেউ আর মিস করবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে কজন আনেনি তারা রক্ষা পায়।

বিসিএস ক্যাডার হলেন পান দোকানির মেয়ে আসমা!

0

শুধু অর্থ আর আভিজাত্য মানুষকে সব কিছু পাইয়ে দেয় না। এজন্য প্রয়োজন প্রবল ইচ্ছাশক্তির। পান এমনই ইচ্ছাশক্তির অধিকারী এক পান দোকানির মেয়ে আসমা হয়েছেন বিসিএস ক্যাডার!

রাজশাহীর প্রত্যন্ত গ্রাম আড়ানীর বাসিন্দা আসমা খাতুন। আসমার বাবা শুকুর আলী ৭০ এর দশকে বাদাম বিক্রি করতেন। বর্তমানে আড়ানি বাজারে তার ছোট্ট একটি পানের দোকান রয়েছে। বাবার অভাবের সংসারের মাঝেও নিজেকে মেলে ধরেছেন আসমা খাতুন। শুধু নিই নয়, ছোট্ট আড়ানি গ্রামকে আলোকিত করেছেন আসমা।

তসলিমা নাসরিন: করোনা আমাকে চুম্বন করেছিল

0

চিত্রকর্ম: বিদেশি এক পথশিল্পীর আঁকা করোনাকালীন চুম্বন

চিত্রকর্ম: বিদেশি এক পথশিল্পীর আঁকা করোনাকালীন চুম্বন

 

করোনা মেয়েটি আমার ঘরে কী করে কী করে যেন একদিন ঢুকে গেল,
এত খিল দিয়ে রাখলাম,
এত আকাশ বাতাস আটকে রাখলাম,
এত শীত-গ্রীষ্মে, এত অন্ধকারে শ্বাস বন্ধ করে বসে রইলাম,
আমার একটি চুলও, চোখের একটি পাপড়িও, পায়ের একটি নখও যেন দেখতে না পায়।
কিন্তু ঠিকই দেখতে পেল।
এসে ঠিকই ঝাঁপিয়ে পড়লো শরীরে, চুম্বন করলো ঠোঁটে।
জিভে জিভ স্পর্শ করে বসে রইলো,
যতই তাকে টেনে নামাতে চাই, ততই সে বিদ্রোহ করে, নিবিড় আলিঙ্গন করে।
সরীসৃপের মতো বুকে হেঁটে হেঁটে যেতে চায় আমার ভেতর-ঘরে, নিভৃ্তে।

বিয়ের পর নারীদের ওজন বাড়ে যেসব কারণে

সারারাত যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে সে, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে সারাদিন।
আমাকে ক্লান্ত, অবসন্ন করে, শক্তিহীন করে, অচল অথর্ব করে, অর্ধমৃত করে
এক রত্তি মেয়েটি জয়ী হলো।
বিজয় নিশান উড়িয়ে দিল বাড়ির ছাদে।
আমার ঘর বারান্দা, বিছানা বালিশ, আমার লেখার টেবিল, সব তার দখলে।
আমার চাল ডাল, ফল মূল, ডিম দুধ সব দখলে তার।
বইপত্র তছনছ করে মেয়েটি দখল নিয়ে নিল সংসারের,
আমার যা কিছু ছিল,নিল।
বাড়ির বেড়ালটিকেও ধমকে এক কোণে বসিয়ে রেখেছে,
সব নাকি তার, বেড়ালও।

কেউ জানে না করোনা নামের মেয়েটি আমার শরীরে উন্মাদের মতো লাফাচ্ছে,
যেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধিশ্বরী সে, খুশিতে আত্মহারা মেয়ে, জানে না
অসাবধানে পা পড়ছে আমার কণ্ঠদেশে,
শ্বাসরোধ হচ্ছে আমার।
জানেনা প্রচণ্ড ক্ষিধেয় সে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে,
আমার হৃদপিণ্ড, আমার ফুসফুস।
চোখদুটো খাবলে তুলে আনছে, খাচ্ছে।
মাংসগুলো খাচ্ছে, হাড়গুলো চিবিয়ে চিবিয়ে ফেলছে,
এক চুমুকে খেয়ে নিচ্ছে মস্তিস্ক।

আলোর মতো অন্ধকার তসলিমা নাসরিন

মেয়েটি হাসি-মুখে এসেছিল, চুম্বন করেছিল,
ভালোবেসে এসেছিল।
ভালোবেসে বাস করতে এসেছিল।
বাস করতে এসেছিল আমার সর্বাঙ্গে।
সে জানে না সে বাসের যোগ্য নয়,
করোনা জানে না সে মৃত্যুর আরেক নাম।
কিশোরী ঘুঙ্গুর পরে লোকালয়ে এসেছিল,
মৃত্যু ঘুঙ্গুর পায়ে এসেছিল লোকালয়ে।

কিশোরীর কামড় খেয়ে কিছু লোক কালো পিঁপড়ের মতো আস্তাকুঁড়ে,
ঋজু দাঁড়িয়ে থাকারা খুব নীল,
যেন আকণ্ঠ বিষ পান করে রঙিন হয়েছে।
মনে নেই চুম্বনে তারা শুষে নিয়েছিল কিশোরীর লালা?

করোনা আমার কেউ নয়,
তবু সে আমাকে বার বার কাছে ডাকে।
আমার সর্বনাশ করেছে সে, তারপরও আসে, পা টিপে টিপে আসে,
গভীর রাত্তিরে আসে,
শহর ঘুমিয়ে গেলে আসে,
কতটুকু অবশিষ্ট আছি দেখতে আসে।

তসলিমা নাসরিন: করোনা আমাকে চুম্বন করেছিল

ট্রান্সজেন্ডার বিউটি ব্লগারকে যৌন নির্যাতন-হত্যাচেষ্টা, গ্রেফতার ৩

0

ট্রান্সজেন্ডার বিউটি ব্লগার সাদ মুআকে যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলার আসামি ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ও সহযোগী নারী আরজেসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

আজ রবিবার রাজধানীর ফার্মগেট ও মহাখালী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সংবাদমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান।

সারোগেসি সন্তানকে ‘রেডিমেড’ বলে বিতর্কে ইন্ধন, তসলিমাকে পাল্টা একহাত নেটপাড়ার

0
সারোগেসি বিজ্ঞানের চমৎকার একটা আবিস্কার বটে। তবে সারোগেসি ততদিন টিকে থাকবে, যতদিন সমাজে দারিদ্র টিকে থাকবে। দারিদ্র নেই তো সারোগেসি নেই। দরিদ্র মেয়েদের জরায়ু টাকার বিনিময়ে ন’মাসের জন্য ভাড়া নেয় ধনীরা। ধনী মেয়েরা কিন্তু তাদের জরায়ু কাউকে ভাড়া দেবে না। কারণ গর্ভাবস্থায় জীবনের নানা ঝুঁকি থাকে, শিশুর জন্মের সময়ও থাকে ঝুঁকি। দরিদ্র না হলে কেউ এই ঝুঁকি নেয় না।
গৃহহীন স্বজনহীন কোনও শিশুকে দত্তক নেওয়ার চেয়ে সারোগেসির মাধ্যমে ধনী এবং ব্যস্ত সেলিব্রিটিরা নিজের জিনসমেত একখানা রেডিমেড শিশু চায়। মানুষের ভেতরে এই সেলফিস জিনটি , এই নার্সিসিস্টিক ইগোটি বেশ আছে। এসবের উর্ধে উঠতে কেউ যে পারে না তা নয়, অনেকে গর্ভবতী হতে, সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম হলেও সন্তান জন্ম না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সারোগেসিকে তখন মেনে নেবো যখন শুধু দরিদ্র নয়, ধনী মেয়েরাও সারোগেট মা হবে, টাকার বিনিময়ে নয়, সারোগেসিকে ভালোবেসে হবে। ঠিক যেমন বোরখাকে মেনে নেবো, যখন পুরুষেরা ভালোবেসে বোরখা পরবে। মেয়েদের পতিতালয়কে মেনে নেবো, যখন পুরুষেরা নিজেদের পতিত-আলয় গড়ে তুলবে, মুখে মেকআপ করে রাস্তায় ত্রিভঙ্গ দাঁড়িয়ে কুড়ি- পঁচিশ টাকা পেতে নারী-খদ্দেরের জন্য অপেক্ষা করবে।
তা না হলে সারোগেসি, বোরখা, পতিতাবৃত্তি রয়ে যাবে নারী এবং দরিদ্রকে এক্সপ্লয়টেশানের প্রতীক হিসেবে।

হাতে লেখা পত্রিকাটি ৯৪ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে

0

সংবাদমাধ্যমের অনেকটাই এখন দখল করে নিচ্ছে নিউজ পোর্টাল– ইউটিউবের মতো আধুনিক প্রযুক্তিগত মাধ্যম। প্রতি মুহূর্তে পাওয়া যাচ্ছে খবরের আপডেট। নিউজ চ্যানেলগুলিও রয়েছে স্বমহিমায়। ফলে প্রিন্ট পত্রিকার পরিধি অনেকটাই ছোট হয়ে আসছে। যদিও সকীয়তার জন্য ছাপা সংবাদপত্রগুলো এখন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে টিকে রয়েছে।

 

ঠিক এই সময়ে হাতে লেখা একটি দৈনিক সংবাদপত্র এখনো বহাল তবিয়তে নিজের জায়গায় অবস্থান করছে। তার চাহিদা বা জনপ্রিয়তা একটুও টলেনি।

 

শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি ‘দ্য মুসলমান’ নামের উর্দুভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্রটি এখনো নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে চলেছে। দেশের বাকি সব উর্দু সংবাদপত্র বা পত্র-পত্রিকা আধুনিক প্রযুক্তিতে ছাপা হলেও ‘দ্য মুসলমান’ বিগত ৯৪ বছর ধরে তার আগের ধারাই বজায় রেখেছে।

 

চেন্নাই থেকে প্রকাশিত এই সংবাদপত্রটি প্রথমে হাতে লিখেই ‘অক্ষর বিন্যাস’ করা হয়। ঠিক যেভাবে ৯৪ বছর আগে কাগজ ছাপা হত– এখনো সেই ধারা অব্যাহত। এতে আধুনিক প্রযুক্তির ঝকঝকে-রঙিন ছাপার যুগে বিন্দুমাত্র কমেনি ‘দ্য মুসলমান’-এর জনপ্রিয়তা। চার পাতার সংবাদপত্রটির এখনো গ্রাহক সংখ্যা একুশ হাজার।

 

 

 

ভারতে উর্দু সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ সঈদ আজমাতুল্লাহ ১৯২৭ সালে ‘দ্য মুসলমান’ পত্রিকা প্রথম প্রকাশ শুরু করেন। উর্দুভাষী মুসলিমদের নবজাগরণের লক্ষ্যে এবং মুসলিম সমাজের মুখপত্র হিসেবে তিনি পত্রিকাটি সম্পাদনা শুরু করেন। পত্রিকাটির নামলিপি বা টাইটেল হেডে রয়েছে পবিত্র কুরআনের আয়াত ইরশাদ হয়েছে–অতএব হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিরা ‘তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো’।

 

সঈদ আজমাতুল্লাহর মৃত্যুর পর পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব নেন তার ছেলে সঈদ ফাজলুল্লাহ। ২০০৮ সালে দায়িত্ব বর্তায় ফাজলুল্লাহ’র নাতি সঈদ আরিফুল্লাহ’র কাঁধে। তিনি এখন পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ ‘দ্য মুসলমান’কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।

 

উর্দুভাষী মুসলিম সমাজের মুখপাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও দ্য মুসলমান সব ধরনের সংবাদই প্রকাশ করে থাকে। পত্রিকাটির বিশেষত্ব হল–পুরোটাই হাতে লেখা। কোনো লেখার মধ্যে পার্থক্য নেই–একই ধাঁচের হাতের লেখা। পত্রিকা নকশা–কলাম বিভাজনকে সমান রেখে তিন শ’এর বেশি অনুলিপিকার প্রতিদিন ২১ হাজার পত্রিকায় লিখে চলেছেন। প্রতি কপি পত্রিকার মূল্য এক টাকা।

করোনা মহামারির প্রকোপের মধ্যেও বন্ধ হয়নি ‘দ্য মুসলমান’ এর প্রকাশনা। ইন্টারনেটের যুগেও জনপ্রিয়তা কমেনি হাতে লেখা পত্রিকাটির। শতবর্ষের দোরগোড়ায় পৌঁছলেও শ্রীবৃদ্ধি হয়নি ‘দ্য মুসলমান’ পত্রিকার।

চেন্নাই শহরে মাত্র ৮০০ বর্গফুটের অফিসে কাজ করেন মাত্র তিনজন রিপোর্টার ও তিনজন ‘কাতিব’ বা লিপিকার। এরপর আছে অনুলিপিকার। এদের কাজ একই খবরকে বারবার প্রতিটি কাগজে লিখে যাওয়া। প্রধান লিপিকার রহমান হুসাইনির সাথে সহযোগিতা করেন শাবানা বেগম ও খুরশিদা বেগম। ‘পুবের কলম’কে শাবানা বেগম টেলিফোনে জানান–এই পদ্ধতিতে অনুলিপিকারের কাজটা সবথেকে কঠিন। কারণ এই পদের কর্মীদের দায়িত্ব থাকে–একই হাতের লেখায় একই মাপে সবকটি কাগজে খরচ ধরানো। চার পৃষ্ঠার জন্য সব লেখা ও সংবাদ নিজেই নির্বাচন করেন বলে দাবি সম্পাদক সঈদ আরিফুল্লাহর।

জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ১০টায় পত্রিকার কাজ শুরু হয়। সকালে দু’জন অনুবাদক এসে খবরগুলি উর্দুতে অনুবাদ করেন। এর পরবর্তী দুই ঘণ্টায় তিনজন লিপিকার ব্রডশিটে বিশেষ কলম ও কালি ব্যবহার করে সেটা লিখে ফেলেন। চার পৃষ্ঠার মধ্যে প্রথম পৃষ্ঠায় থাকে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শীর্ষ সংবাদ। দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় সম্পাদকীয় এবং অন্য দুই পৃষ্ঠায় অন্যান্য স্থানীয় সংবাদ ও বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়। তবে সোমবারের আয়োজন একটু ভিন্ন হয়। সেদিন তৃতীয় পৃষ্ঠায় কুরআন ও ইসলামি লেখা প্রকাশিত হয়। একইভাবে হাতে লেখা পদ্ধতিতে পত্রিকা প্রকাশের দীর্ঘ যাত্রাপথে ‘দ্য মুসলমান’ পাঠকের ভালোবাসায় সিক্ত।

পত্রিকা সম্পাদকের কথায়–উর্দু ভাষাচর্চা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে ক্যালিগ্রাফি লেখার লোকও ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ! ফলে এইভাবে নিয়মিত পত্রিকা প্রকাশ করতে ভবিষ্যতে লেখার জন্য যোগ্য ‘কাতিব’ পাওয়া যাবে কি না–তা নিয়েও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন সঈদ। এর সাথে রয়েছে পত্রিকার উপার্জন। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ। তা সত্ত্বেও নবীন প্রজন্মের কাছে উর্দু লেখা এবং পড়ার অভ্যাস বজায় রাখার জন্যই এখনো হাতে লিখে প্রতিদিনি ‘দ্য মুসলমান’ প্রকাশ করেন বলে দাবি করেন সঈদ সাহেব।

সূত্র : পুবের কলমWriting this paper

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে ইনকাম সম্ভব ?

0

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে ইনকাম সম্ভব ?

ইউটিউবে ট্রিকবিডিকে সাবস্ক্রাইব করুন

হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে ইনকাম সম্ভব। তবে এর জন্য আপনার একটি স্মার্টফোন থাকতে হবে।ব র্তমানে স্মার্টফোনে যে পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়, একসময় কম্পিউটারেও রকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেত না। কম্পিউটারের মনিটরের স্ক্রিন বড় এবং আপনার মোবাইলের স্ক্রিন ছোট। এটাই শুধু পার্থক্য। সুতরাং আপনার মোবাইলটাকে একটি মিনি কম্পিউটার ভাবতে পারেন।

ফেসবুক বলুন কিংবা টিকটক, সামাজিক মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতারাই ‘অসামাজিক’

বর্তমানে সবাই এখন মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে চাই, কিন্তু মোবাইল দিয়ে ইনকাম কিভাবে শুরু করবে? এটা সঠিক গাইডলাইন কেউ দেয় না।

Fast Facebook Video Downloader for PC | Top 11 Facebook Video Downloader Software [2022 Rankings]

আমি কথা বলব গুগল এডসেন্স এর ইনকাম নিয়ে। মোবাইল দিয়ে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করবেন? কিভাবে শুরু করবেন?

 

আপনি যদি সঠিক গাইডলাইন না পান, তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য। কারণ এখানে আমি আপনাকে একটি সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করব।

 

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করে, একাউন্ট করে এবং রেফার করে টাকা ইনকাম ইত্যাদি নিয়ে আমি এখানে আর্টিকেল লিখতে চাইনা। কারণ ওখান থেকে ইনকাম করতে গেলে আপনাকে অ্যাপস এর মালিক টাকা দেবে। তিনি আপনাকে দিতেও পারে, আবার নাও দিতে পারে…. এবং মোবাইল দিয়ে সহজে ইনকাম করতে গিয়ে এখান থেকে মানুষ প্রতারিত হয়। তো আমি এসব প্রতারিত বিষয় নিয়ে কথা বলবো না।

 

কিন্তু আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ব্লগিং শুরু করেন এবং এডসেন্স থেকে ইনকাম করেন। তাহলে আপনাকে গুগোল টাকা দিবে। গুগোল আপনার টাকা মেরে খাবে না।

 

অবশ্যই কোন মোবাইল অ্যাপসে সময় নষ্ট না করে নিজে অ্যাডসেন্স, বাংলা আর্টিকেল রাইটিং, এসইও ডিজিটাল মার্কেটিং, ​ইত্যাদি বিষয় নিয়ে এখন থেকেই শিখতে শুরু করুন। আপনি মোবাইল দিয়ে প্রথমে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পড়ুন এবং তারপরে ইউটিউব ভিডিও দেখুন।

 

কিছুদিন পরে দেখবেন এগুলো বিষয় নিয়ে আপনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং তারপর আপনি আপনার মোবাইল ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। এবং রেগুলার কনটেন্ট আপলোড করা শুরু করুন

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং ইনকাম

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে ইনকাম করতে গেলে, আপনাকে 3টি স্টেপ ফলো করতে হবে। নিচে লক্ষ্য করুন:

আপনি উপরের তিনটি স্টেপ ফলো করে অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নিবেন এবং তারপর রেগুলার পোস্ট করতে থাকবেন। ছয় মাস পরে দেখতে পারবেন আপনার আসল ফলাফল।

কিভাবে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং শুরু করব? কিভাবে ওয়েবসাইট বানাবো? কিভাবে পোস্ট করব ইত্যাদি যদি আপনার মনে এরকম প্রশ্ন এসে থাকে এবং একটি সঠিক গাইডলাইন চান, তাহলে নিচের পোস্টটি পড়তে পারেন: কিভাবে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং শুরু করবেন? (বিস্তারিত গাইড)

 

অনলাইন ইনকাম, মোবাইল দিয়ে ইনকাম, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং, গুগল এডসেন্স, আর্টিকেল লিখে ইনকাম ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে টিপস পেতে চাইলে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমি রেগুলার এই টিপসগুলো দিয়ে থাকি

ইচ্ছাপত্র এবং অন্যান্য তসলিমা নাসরিন

0

১. বাংলাদেশের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের সহজে কেউ বউ হিসেবে নিতে চায় না। কারণ সারারাত তারা ঘোরাফেরা করে’। তিনি চান না তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের মতো বাইরে ঘোরাফেরা করুক, বেশি রাতে ঘরে ফিরুক। তিনি মনে করেন না রাত্তিরে মেয়েদের কোনও কাজ থাকতে পারে বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদেরও তিনি সেই নজরে দেখতে চান যে নজরে মধ্যযুগের অন্ধকারে নারীবিদ্বেষী পুরুষেরা দেখতো।

পৃথিবীর এমন ছয়টি স্থান, যেখানে কখনো সূর্য অস্ত যায় না

0

নির্দিষ্ট সময়ে হয় দিন এবং রাত। এছাড়া আমরা সূর্যাস্ত, আর সূর্যোদয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু পৃথিবীতে এমনও কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে ডোবে না সূর্য। ২৪ ঘণ্টাতেই বিরাজ করে বরুণ দেব। খাতায় কলমে এই ঘটনাকে বলা হয় ‘দ্য মিডনাইট সান’।

তসলিমা নাসরিন বেহেশতে ঘুরে এসে যা যা দেখলেন | তসলিমা নাসরিনের বেহেশতে Part -2

0
আজ দুপুরেও ফেসবুক আমাকে মেরে ফেলেছিল। ন’ ঘন্টা মৃত অবস্থায় ছিলাম। উনি সেই ডানাওয়ালা ঘোড়া পাঠিয়ে আবারও তাঁর কাছে নিয়ে গেলেন। বেহেস্তের বাগানে মৃদুমন্দ হাওয়ায় বসে দুজন মদিরা পান করছি। ফেসবুক, জিহাদি, সাইবার ক্রাইম ইত্যাদি বিষয়ে কিছুক্ষণ কথা বলার পর বললাম, ‘দিনে পঞ্চাশ বার নামাজকে তো দরকষাকষি করে একজন পাঁচ বার করিয়ে নিয়েছিল। এবার আমার অনুরোধে কিছু করুন। নামাজ এক বেলা করে দিন। চাকরি ব্যবসা সংসার সন্তান সামলে পাঁচ বেলা ওঠবস করাটা টু মাচ।’
–তুমি তো নামাজ পড়ো না, তোমার এত ভাবনা কেন?
–আমি আর নিজের জন্য কবে ভাবলাম! অন্যের জন্যই তো ভেবে মরি।
–ঠিক আছে, তুমি যখন বলছো, আমি নামাজ এক বেলা করে দিলাম।
–আর হিজাব বোরখার ব্যাপারটা বলুন তো, কেন এসবের অর্ডার দিয়েছেন? গরমে মেয়েরা বোরখার ভেতর সেদ্ধ হতে থাকে। হিজাবটাও চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট করছে। এমনিতে মেয়েদের মাথা গরম, এসব পরে আরও গরম হচ্ছে মাথা।
–আমি তো পরতে বলিনি এসব। বুঝেছি, ওই ছেলেটাই রটিয়েছে।
–অত শত বুঝি না, আপনি এখন ঘোষণা করে দিন মেয়েরা যেন যে যার পছন্দের পোশাক পরে।
–ওদের বলে দিও, হিজাব আর বোরখা পরে কোনও লাভ নেই। স্ক্যানার বসিয়েছি বেহেস্তের দরজায়। কে কার মাথা কী দিয়ে ঢেকেছে স্ক্যানার তা দেখবে না, দেখবে কার মাথার ভেতরে কী আছে। ভালো চিন্তা থাকলে সবুজ বাতি, খারাপ চিন্তা থাকলে লাল।
–ভালো ব্যবস্থা। কিন্তু এই খবর রাষ্ট্র করার জন্য আমার হাতে কিছু নেই। এক ফেসবুক আছে, ওতেই জানিয়ে দেব।
–তোমার নিজের জন্য কিছু চাইবে না? ধন দৌলত, পরীক্ষায় পাশ, চাকরি বাকরি, সাফল্য, সুখ?
–একেবারেই না। আপনার কাছে চাইতে হলে আপনার ভক্তগুলোর জন্য চাইবো, আর আমি তো আপনার সঙ্গে বসে একটু সুখ দুঃখের কথা বলতে পারলেই খুশি।
–এইজন্যই তোমাকে আমার এত ভালো লাগে। এত যে ভক্ত দেখি, তোমার মতো কাউকে দেখি না। আচ্ছা, তুমি তো দেখতে চেয়েছিলে তোমার দেশের মোল্লা মওলানা ওয়াজি হুজুরেরা মৃত্যুর পর এখন কোথায় আছে, কী করছে। চল দেখবে চল।
উনি আমাকে দোযখের দিকে নিয়ে গেলেন। দেখলাম দোযখে ওরা পুড়ছে, আর আমাকে দেখেই চিৎকার করে কাঁদছে আর বলছে বাঁচাও বাঁচাও।
দেখে আহা আহা করে উঠলাম, বললাম, বেচারারা অনেক পুড়েছে, এখন আগুনের আঁচটা কমিয়ে দিন।
উনি আঁচটা কমিয়ে দিলেন। এবার আবার অনুরোধ, ওদের একটু বাইরে আসতে দিন। বাগানে কিছুক্ষণ মুক্ত হাওয়ায় হাঁটুক, খাবার টাবার কিছু খাক। উনি আমার অনুরোধ রাখলেন না। বললেন, ওরা বদ, প্রতারক, অন্যকে ঠকায়, তুমি যে ওদের জন্য মায়া করছো, উপকার করতে চাইছো, ওরা বেরিয়ে এসে সুযোগ পেলেই তোমার গলা টিপে ধরবে।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে সরে এলাম। তিনিও পাশে পাশে।
এবার আমার জিজ্ঞাসা, শুনেছি অমুসলিমদের নাকি দোযখে পাঠাবেন?
–ডাহা মিথ্যে। এমন কথা তো কস্মিনকালেও বলিনি। বুঝেছি, ছেলেটা রটিয়েছে।
–শূকরের মাংস খেতে কি নিষেধ করেছেন? মদ্য পান কি নিষিদ্ধ?
–পাগল হয়েছো? আমার গ্লাসে কী, দেখতে পাচ্ছো না? আমি নিজেই তো পান করি। আজ লাঞ্চে পর্ক ছিল। বুঝেছি, ওই ছেলেটাই।
–রোজা ফোজার ব্যাপারটা আমার কাছে খুব হাস্যকর ঠেকে। আপনি কি সত্যিই এমন কিছু বলেছিলেন, নাকি ওই ছেলেটাই?
— ওই ছেলেটাই।
এরপর অনেকটা হাঁটতে হাঁটতে বেহেস্তের বাগানে ফিরে এসে জিজ্ঞেস করি–এখানে করোনার কী অবস্থা? সবার টিকা হয়েছে?
–বেহেস্তে যারা আছে, সবার হয়ে গেছে, দোযখবাসিরা নিতে চাইছে না, বলছে টিকা নিলেই কী, না নিলেই কী।
–তাও কথা।

আলোর মতো অন্ধকার তসলিমা নাসরিন

0

আলোর মতো অন্ধকার তসলিমা নাসরিন

আমার নাম দেবিকা, দেবিকা স্মিথ। নাম শুনে অনেকে অবাক হয়। বলে, স্মিথ বুঝলাম কিন্তু দেবিকা ব্যাপারটি কী? আমার সোনালী চুল, সাদা ত্বক দেখে তাদের হয়তো মনে হয় আমার নাম মার্গারেট, এলিজাবেথ, স্টেলা, এভ্লিন, শারলট হলে মানাতো। আসলে আমার জন্মের পর যে নামটি আমাকে দেওয়া হয়েছিল, সেটি মার্গারেট। আমি ছিলাম মার্গারেট স্মিথ। মার্গারেট স্মিথ কী কারণে দেবিকা স্মিথ হয়ে উঠলো, সে এক ইতিহাস। সেই ইতিহাস আমি যাকে তাকে বলিনা। কেউ খুব চেপে ধরলে বলি, ‘আমার বাবা মা ভারতে ছিলেন কিছুদিন।’ তথ্য ভুল নয়। কিন্তু বাবা মা ভারতে কিছুদিন বাস করলে মার্গারেট নাম বদলে কী কারণে দেবিকা রাখবেন, সে প্রশ্ন কেউ করে না, উত্তর দেওয়ার প্রয়োজনও আমার পড়ে না। আসলে বাবা মা কিছুদিন নয় , ভারতে ছিলেন পাঁচ বছর।

তসলিমা নাসরিন বেহেশতে ঘুরে এসে যা যা দেখলেন | তসলিমা নাসরিনের বেহেশতে

0
জি-হা-দিদের প্ররোচনায় ফেসবুক আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল প্রায় একুশ ঘণ্টা আগে। এই একুশ ঘন্টায় আমি পরকালটা দেখে এসেছি। ‘উনি’ তো আমাকে হাত ধরে নিয়ে গেলেন, আমার জন্য বিশাল খানাপিনার আয়োজন করেছিলেন। খেয়ে দেয়ে বিশ্রামও নিলাম কিছুক্ষণ। হুরগুলো ঘুরঘুর করছিল পায়ের কাছে। দুটো ফুটফুটে গেলবান আমাকে রূপোর গ্লাসে দ্রাক্ষারস পান করতে দিল। পান শেষ হওয়ার পর উনি এসে বললেন ‘যাও সাগরগুলোয় সাঁতরে এসো।
একটি দুধের, একটি মদের, আরেকটি মধুর সাগর’। আমি মধুর সাগরে সাঁতরে উঠে এলাম। উনি বললেন, ‘একটু দুধ আর মদের সাগরেও সাঁতরাও।’ আমি বললাম, ‘ না না আমি দুধ মদ কোনওটাই তেমন পছন্দ করি না, আপনি যদি বেদানার রসের কোনও সাগর বানাতেন, তাহলে অনেকক্ষণ সাঁতরানো যেত’। উনি বললেন, ‘দাঁড়াও, কাল থেকেই লোক লাগিয়ে দেব সাগর খোদার জন্য, বেদানার রসের একটা সাগর আমি বানাবোই’। এরপর উনি আমাকে বেহেস্ত আর দোযখগুলো ঘুরিয়ে দেখালেন ।

ফেসবুক বলুন কিংবা টিকটক, সামাজিক মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতারাই ‘অসামাজিক’

0

এবার ফেসবুকের প্রধান প্রতিযোগী টুইটারের কথাই ধরা যাক। সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডরসিকে দেখে অবশ্য লাজুক বলে মনে হয় না মোটেও। তবে শৈশবে এমন ছিলেন না। নিজের তোতলামির জন্য একপর্যায়ে কথা বলা কমিয়ে দেন, যতটা সম্ভব একা থাকা শুরু করেন। ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে ওঠেন। আর এখন দেখুন, বিশ্বের অন্যতম সফল প্রতিষ্ঠানগুলোর একটির প্রধান তিনি।

জাকারবার্গ কিংবা ডরসির মতো ইভান স্পিগেল আমাদের দেশে খুব পরিচিত নন। সেটার মূল কারণই তিনি পাদপ্রদীপের আলোয় আসতে চান না। তরুণদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ন্যাপচ্যাটের এই সহপ্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, যোগাযোগের দক্ষতা উন্নয়নে তাঁকে আরও কাজ করতে হবে। সঙ্গে বলেছেন, যোগাযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, তা তিনি ধরতে পারেননি। তা ছাড়া স্ন্যাপচ্যাট কেমন চলছে, তা বিনিয়োগকারীদের আরও ভালোভাবে বোঝানো প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেছিলেন।

পোষা কুকুরের সঙ্গে মাইক ক্রিগার
পোষা কুকুরের সঙ্গে মাইক ক্রিগার
ইনস্টাগ্রাম থেকে

মাইক ক্রিগার ক্যামেরার ফ্রেমের ভেতর থাকার চেয়ে পেছনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অ্যাকাউন্ট দেখলেই তা বোঝা যায়। কদাচিৎ সেখানে নিজের ছবি দিতেন, বেশির ভাগই তাঁর পোষা কুকুর জুনো আর প্রকৃতির ছবি। ব্যাপারটি অদ্ভুত। কারণ, ছবি শেয়ার করার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। অন্য সহপ্রতিষ্ঠাতা কেভিন সিসট্রোম যতটা বহির্মুখী, মাইক ততটাই অন্তর্মুখী স্বভাবের। জীবনে যে অল্প কটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তার একটিতে বলেছেন, মাঝেমধ্যে তাঁর যে বহির্মুখী হতে ইচ্ছা করে না, তা না। তবে নিজের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী সঠিক কাজটিই তিনি করছেন। তিনি ইনস্টাগ্রামের কারিগরি দিকটি দেখতেন। এখন অবশ্য দুই সহপ্রতিষ্ঠাতার কেউই আর ইনস্টাগ্রামে কাজ করেন না। মূল প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের জাকারবার্গের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ইনস্টাগ্রাম ছাড়েন তাঁরা।

এদিকে অন্তর্মুখী বলেই হয়তো পিন্টারেস্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে মনে করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির সহপ্রতিষ্ঠাতা বেন সিলবারম্যান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের অন্তর্মুখী স্বভাব নিয়ে বলেছেন, একটা মজার ব্যাপার হলো, অনেক মানুষ ইন্টারনেট-নির্ভর প্রতিষ্ঠান দাঁড় করান। কারণ, তাঁরা কিছুটা অন্তর্মুখী। যখন তাঁরা খুবই ভালো করেন, তখন তাঁরা মুখোমুখি হন বহির্মুখী দুনিয়ার সঙ্গে। এই অভিজ্ঞতা অদ্ভুত।

বেন সিলবারম্যান
বেন সিলবারম্যান
পিন্টারেস্ট

তবে অসামাজিক বলি আর অন্তর্মুখী, এখানে যাঁদের কথা বলা হলো, তাঁরা সবাই যশ আর খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেছেন। আর অর্থের ব্যাপারটি যদি আসেই, তবে তাঁরা সবাই বিলিয়নিয়ার, বেশির ভাগই মাল্টি-বিলিয়নিয়ার। অর্থাৎ, অন্তর্মুখী স্বভাব তাঁদের জীবনে কখনো বাধা তৈরি করেনি। সবচেয়ে বড় কথা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরি করে মানুষকে যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়েছেন তাঁরা।

সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, ইনকরপোরেটেড ম্যাগাজিন

ময়মনসিংহের প্রতাপশালী জমিদার যুগলকিশোর রায়চৌধুরী কি সিরাজউদ্দৌলার পুত্র ছিলেন!

0

ধারণা করা হয় পলাশী যুদ্ধের পর সিরাজ ও ধর্মান্তরিত আলেয়ার ছয় বছরের ছেলেকে নিয়ে ময়মনসিংহে পালিয়ে আসেন মামা মোহনলাল। তখনও পেছনে লেগে আছে ক্লাইভ ও মীর জাফরের গুপ্তচর। ব্রিটিশদের চোখের আড়ালে বড় করতে সিরাজ পুত্রকে কৃষ্ণপুর জমিদার বংশে দত্তক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক যুগলকিশোরের গায়ের রঙ আর সুঠাম দেহের জন্য তাকে আর দশজন বাঙালি থেকে সহজেই আলাদা করা যেত। সম্ভবত নিজের মুসলিম পরিচয়ের জন্যই জমিদারি নিয়ে পরিবারের দুই বিধবার সঙ্গে দীর্ঘ মামলায় জড়ান যুগলকিশোর। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এই জমিদারের শেষ জীবন কাটে সিলেটে। সিলেটের যুগল টিলার নামও তার নামানুসারেই।

নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং হীরা ওরফে আলেয়া। লালা দে পরিবারের কাছ থেকে হীরার এই ছবিটি পান অধ্যাপক অমলেন্দু দে।

ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত খোশবাগে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন শাসক নবাব সিরাজউদ্দৌলা। সিরাজ ছাড়াও খোশবাগে তার স্ত্রী লুৎফুন্নেসা, আলীবর্দী খানসহ নবাব পরিবারের ৩৪ সদস্যের কবর রয়েছে।

পরকাল বলে কিছু নেই। পূনর্জন্ম বলে কিছু নেই। মৃত্যুতেই জীবনের সমাপ্তি। -Taslima Nasrin

0
আমি চাই আমার মৃত্যুর খবর প্রচার হোক চারদিকে। প্রচার হোক যে আমি আমার মরণোত্তর দেহ দান করেছি হাসপাতালে, বিজ্ঞান গবেষণার কাজে। কিছু অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কারও জীবন বাঁচুক। কারও চোখ আলো পাক। প্রচার হোক, কিছু মানুষও যেন প্রেরণা পায় মরণোত্তর দেহ দানে।

FULL BIOGRAPHY OF PINAKI BHATTACHARYA

0

Paris-based Bangladeshi citizen Pinaki Bhattacharya is a trained medical doctor. Born in 1967, he is the eldest son of Shyamal Bhattacharya, a cultural personality and former eminent teacher of Bogra District School. While Pinaki does not happen to practise medicine now, he runs a pharmaceutical business. Pinaki Bhattacharya is Paris-based Bangladeshi blogger and social activist. He is also an adjunct faculty member at American International University Bangladesh (AIUB). He teaches environmental toxicology there.

সংশয়বাদ কাকে বলে? আমাদের ওয়েবসাইটের নাম কেন সংশয়?

0
সংশয়বাদ কাকে বলে? আমাদের ওয়েবসাইটের নাম কেন সংশয়?
সংশয়বাদ শব্দটির অর্থ অনেক বৃহৎ, বলা যেতে পারে এটি একটি বিগ আম্ব্রেলা বা বড় ছাতা যার মধ্যে অনেক কিছু রয়েছে। যেকোন কিছুকে বিনাবাক্যব্যয়ে মেনে না নিয়ে যাচাই বাছাই করা, প্রশ্নবিদ্ধ করার মনোভাবকেই সংশয়বাদ বলা হয়। সাধারণত আমরা ছোটবেলা থেকে নানান কথা, উপকথা এবং রূপকথা শুনে বড় হই। সেগুলোর মধ্যে কোনটি যৌক্তিক আর কোনটি অযৌক্তিক, তা বিচার না করেই মেনে নিই বা বিশ্বাস করি। কিন্তু যুক্তিবাদী মানুষের উচিত, যাচাই করে দেখা।
সাধারণ্যে বহুল প্রচলিত কোনো ধারণাকে সন্দেহ করা অর্থে সংশয়বাদ শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কোনো কিছুর নিদর্শন পেলে তাকে বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে না নিয়ে বরং সেই নিদর্শনটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই সংশয়বাদ। যারা মনে করেন সংশয়ী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নানা প্রথা ও সংস্কার সমূহ, প্রতিষ্ঠানসমূহকে যাচাই করে দেখা জরুরি, তারাই সংশয়বাদী।
বাঙলাদেশের প্রখ্যাত নাস্তিক এবং মুক্তমনা, দর্শনের শিক্ষক অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের বাসভবনের নাম ছিল সংশয়। এই নামটি আমাদের ওয়েবসাইটের নাম হিসেবে রাখার ব্যাপারে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
পড়ুন সংশয় ডট কম, বাঙলাদেশ থেকে যারা দেখতে পাচ্ছেন না তারা পড়ুন সংশয় ডট লাইভ।
জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ,
যুক্তি যেখানে আড়ষ্ট,
মুক্তি সেখানে অসম্ভব

 

Translate »