মানুষ যদি ধৈর্যের সাথে এবং আবেগ দিয়ে কোন কাজ করে তাহলে তার সাফল্য নিশ্চিত। এরকমই একটি উদাহরণ হচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা রঞ্জনা যাদব। জিনি তার নিজের অদম্য জেদ দ্বারা মুক্তা চাষ করেছেন। ব্যাবসায় আগ্রহী এই মহিলা তার নিজস্ব বিধিবানী পার্ল ফার্মিং নামে এক স্টার্টআপ শুরু করেছেন। প্রথমে রঞ্জনা যাদবের পরিবার তার এই ব্যবসার বিরুদ্ধে ছিল।
তখন তিনি তার বাড়ির উঠোনে একটা ছোট্ট বাথটাবে মুক্ত চাষ করেন করেন এবং দশ এগারো মাস পর সেই মুক্তো গুলিকে হায়দ্রাবাদের একটি গহনার দোকানে 450 থেকে 350 টাকায় বিক্রি করেন। যার ফলে সেই বারে তার লাভ হয়েছিল প্রায় 80000 টাকা। তার এত কঠিন পরিশ্রমের মুক্ত দেখে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলেন। তারপর তিনি ভুবনেশ্বর থেকে মুক্ত চাষের জন্য এক সপ্তাহের একটি ক্রাশ কোর্স করেন।
ভুবনেশ্বর থেকে ফিরে এসে তিনি তার বাড়ির উঠোনে 14×14 ফুট একটি পুকুর খনন করেন। সেই পুকুরে তিনি প্রায় 1 লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে 2000 টি ঝিনুক ফেলে দিলেন। এই মুক্তা চাষের জন্য প্রথমে ঝিনুক রোপণ করে একদিনের জন্য এইভাবেই রেখে দেওয়া হয়। তার পরবর্তী সাত দিন তাকে ক্ষারযুক্ত জলে রাখা হয়। এই ভাবেই সাত দিন রাখার পর যখন খোলক ও পেশীগুলো আলগা হয়ে যায়।
তখন তার মধ্যে অস্ত্রপ্রচার করে ছাঁচ বসিয়ে নাইলন জাল ও দড়ি দিয়ে এই ভাবেই দশ এগারো মাস রেখে দেওয়া হয়। এই দশ এগারো মাস জুড়ে ঝিনুক গুলিকে সবুজ শৈবাল খাওয়াতে হয়, পুকুর পরিষ্কার করতে হয় এবং পুকুরের জল পাল্টাতে হয়। এই সমস্ত কিছুর পরিচর্যার মাধ্যমে একটা ঝিনুক থেকে মুক্তো উৎপন্ন হয়। তিনি বলেছেন যে মুক্তো চাষ খুবই সহজ এবং এতে কম বিনিয়োগে অনেক টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
নিজের বইয়ের ফেরিওয়ালা দৃষ্টিহীন ‘কবি’
এই অক্টোবর-নভেম্বর মাসে তিনি প্রায় 4 লাখ টাকা লাভের আশা করছেন। তিনি আরও বলেছেন যে সঠিক অস্ত্রপচার ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সমুদ্র জলের থেকেও স্বাদু জলেও অনেক ভালো মুক্ত পাওয়া সম্ভব। তার ক্ষেতে তিনি 16 জন কৃষি ছাত্রকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এছাড়াও ইউপির হাথরাসের মতো জায়গার 10 জন কৃষককে তিনি সাহায্য করেছেন যারা এখন নিজেরাই মুক্ত চাষ করে।